তেহরান মেডিকেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি রিসার্চ সেন্টারের প্রধান ড. মোহাম্মদ হোসেইন ইয়াজদি জানিয়েছেন, এই উদ্ভাবনী ইরানি ভ্যাকসিনটি mRNA প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক পূর্বাভাস অ্যালগরিদম ব্যবহার করে নকশা করা হয়েছে। এই প্রযুক্তির মূল বৈশিষ্ট্য হলো এটি প্রতিটি রোগীর টিউমারের স্বতন্ত্র জিনগত বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে একটি সুনির্দিষ্ট ভ্যাকসিন তৈরি করতে সক্ষম।
ড. ইয়াজদির মতে, এই পদ্ধতির অন্যতম বড় শক্তি হলো এর 'অত্যন্ত নির্ভুল পূর্বাভাসের ক্ষমতা'। প্রচলিত ভ্যাকসিন তৈরির দীর্ঘ প্রক্রিয়া এড়িয়ে এই স্মার্ট ভ্যাকসিনটি উন্নত অ্যালগরিদমের সাহায্যে দ্রুততম সময়ে সবচেয়ে কার্যকর ভ্যাকসিন প্রার্থী নির্ধারণ করতে পারে। এর ফলে গবেষণা ও উন্নয়নের সময় ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায় এবং মাত্র দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে ভ্যাকসিন নকশা ও প্রস্তুত করা সম্ভব হয়।
এই ব্যক্তিকেন্দ্রিক ভ্যাকসিনটি শুধু ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্যই নয়, বরং ভবিষ্যতে যারা এই রোগের ঝুঁকিতে রয়েছেন তাদের জন্য প্রতিরোধমূলক টিকা হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। ড. ইয়াজদি মনে করেন, এই আবিষ্কার প্রচলিত চিকিৎসার পদ্ধতিকে পাল্টে দেবে এবং ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।