রোববার (৩ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালত এই আদেশ দেন। কারাগারে পাঠানো তিন কর্মকর্তা হলেন—সাকিব হোসেন (হেড অব ফিন্যান্স), সাঈদ আহমেদ (চিফ কমার্শিয়াল অফিসার) এবং এ কে এম সাদাত হোসেন (চিফ অপারেটিং অফিসার)।
এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক সাদ্দাম হোসেন তাদের কারাগারে রাখার আবেদন জানান। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করলেও শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার তথ্য অনুযায়ী, শনিবার (২ আগস্ট) বিপুল সরকার নামের এক গ্রাহক মতিঝিল থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এর আগে ওইদিন সন্ধ্যায় হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায় ফ্লাইট এক্সপার্টের কার্যক্রম, যা গ্রাহকদের মধ্যে চরম ভোগান্তি তৈরি করে।
অভিযোগে বলা হয়, গ্রাহকদের অগ্রিম বুকিংয়ের টাকা আত্মসাৎ করে প্রতিষ্ঠানটির মালিকপক্ষ দেশ ত্যাগ করেছে। মামলায় ৪ কোটি ৭৯ হাজার টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অন্য দুই আসামি হলেন—ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালমান বিন রাশিদ শাহ সাঈম ও তার বাবা এম এ রাশিদ।
২০১৭ সালের মার্চে যাত্রা শুরু করা ফ্লাইট এক্সপার্ট স্বল্পমূল্যে অনলাইন টিকিট বুকিংয়ের সহজ সুবিধার কারণে দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়। তবে একাধিক সূত্র জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি নিজে সরাসরি এয়ারলাইনের কাছ থেকে টিকিট না কিনে দুটি মধ্যস্থতাকারী এজেন্সির মাধ্যমে তা সংগ্রহ করতো। এখন ওই এজেন্সিগুলো রিফান্ড করে টাকা তুলে নিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।