প্রথম জুমুআয় হিজরতের পথে নবী করীম ﷺ ওয়াদি রানুনাহ এলাকায় থেমে নামাজ আদায় করেন এবং ইতিহাসের প্রথম জুমুআর খুতবা দেন। সেই খুতবায় তিনি তাকওয়া, আল্লাহভীতি, আখিরাতের প্রস্তুতি এবং মুসলিম ভ্রাতৃত্বের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন।
আজও প্রতিটি জুমুআর খুতবা আমাদের সেই একই আহ্বান জানায়—
- কেন আমরা দুনিয়ায় এসেছি,
- কীভাবে আল্লাহর আদেশ মানতে হবে,
- আর আখিরাতের জন্য কী প্রস্তুতি নিতে হবে।
খুতবা শোনা শুধু একটি সুন্নাহ নয়, বরং এটি ঈমানকে দৃঢ় করার একটি বাস্তব মাধ্যম।
রাসূল ﷺ বলেছেন:
“যে ব্যক্তি জুমুআর খুতবা শোনার সময় নীরব থাকে, তার জন্য প্রতি পদক্ষেপে এক বছরের নফল নামাজ ও রোজার সওয়াব লেখা হয়।” (ইবনে মাজাহ)
জুমুআ কেবল সপ্তাহের একটি দিন নয়—এটি আমাদের ঈমানকে পুনরুজ্জীবিত করার দিন। খুতবা হলো আল্লাহর পক্ষ থেকে সরাসরি এক দাওয়াত, যা আমাদের জীবনকে সঠিক পথে পরিচালিত করে। তাই আসুন, জুমুআয় খুতবা শোনাকে অভ্যাসে পরিণত করি এবং এর শিক্ষাকে জীবনে বাস্তবায়ন করে আখিরাতের সফলতার পথে এগিয়ে যাই, ইন শা আল্লাহ।