দ্য ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, গত মাসে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর বৈঠকে দিল্লি এ তিনটি বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছিল। ভারত স্পষ্ট জানায়, আকস্মিকভাবে সার রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রবি মৌসুমে ডি-অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সরবরাহে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটেছে। একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্পে ব্যবহৃত টানেল বোরিং মেশিনও আটকে রাখা হয়েছিল, যেগুলো মূলত চীনের কারখানায় তৈরি।
এছাড়া অটোমোবাইল ও ইলেকট্রনিক্স শিল্পের পক্ষ থেকে রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট ও খনিজ রপ্তানিতে চীনের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। দুই দেশের মধ্যে গত মাসে জয়শঙ্কর ও ওয়াং ই-এর দুটি বৈঠকের পর লাদাখ সীমান্তে সেনা প্রত্যাহারের ধারাবাহিকতায় রাজনৈতিক মতপার্থক্য কমাতে আস্থা বৃদ্ধিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে এই অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ কেবল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন গতি দেবে না, বরং এমন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিচ্ছে যখন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো চীনের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে।