গাজা উপত্যকায় একটি আন্তর্জাতিক শান্তি-ও-স্থিতিশীলতা বাহিনী খুব শিগগিরই মোতায়েন করা হবে—এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের একটি অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) মিডিয়ার সামনে তিনি এ কথাটি বলেন এবং জানিয়েছেন যে গাজার পরিস্থিতি এখনেই উন্নতির লক্ষণ দেখাচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো প্রয়োজন হলে স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসছে।
ট্রাম্পের মন্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে যখন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ গাজায় অন্তর্বর্তীকালীন শাসন সংস্থা ও দুই বছরের ম্যান্ডেটধারী স্থিতিশীলতা বাহিনীর বিষয়টি আলোচনা করছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাহিনীর মূল দায়িত্ব হবে বেসামরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সীমান্ত ও সংবেদনশীল এলাকায় সতর্কতা বজায় রাখা এবং স্থানীয় ফিলিস্তিনি পুলিশের প্রশিক্ষণ ও সহায়তা প্রদান। সূত্রে জানা গেছে, মিশর, কাতার, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সৈন্যদের এতে অংশগ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে; রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে খসড়া রেজ্যুলেশনে ২০ হাজার সৈন্যের একটি স্থিতিশীলতা বাহিনীকে 'প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ' করার ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে — যার মানে হল নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে বল প্রয়োগের অধিকার থাকতে পারে।
ট্রাম্পের ঘোষণায় জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে হামাসের আক্রমণাত্মক সক্ষমতা সীমিত করা হবে এবং পুনর্গঠনে কাজে বাধা প্রদান করে অপ্রয়োজনে হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ করা হবে; তবে তিনি স্পষ্ট করেননি যে তার ২০-দফা পরিকল্পনার আওতায় হামাস কি অস্ত্র ত্যাগে সই করবে কি না। আন্তর্জাতিক বাহিনী, এর সীমাবদ্ধতা ও ম্যান্ডেট সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নিতে এখনও সিরিজকভাবে কূটনৈতিক আলোচনা ও নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, গাজায় বহিরাগত বাহিনী মোতায়েন সংক্রান্ত বিষয়টি নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব ও এলাকার নানামুখী রাজনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে জড়িত — তাই কাদেরা নেতৃত্ব দেবে, কাদের কংক্রিট রোল থাকবে, ম্যান্ডেটের স্পষ্ট পরিসর কী থাকবে এবং স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা ও মানবিক চাহিদা কিভাবে নিশ্চিত করা হবে—এইসব প্রশ্ন এখনো উন্মুক্ত এবং ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্তপ্রক্রিয়ায় তা বিবেচনায় নেওয়া হবে।
ডেস্ক রিপোর্ট