যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও লেবানন-ইসরাইল সীমান্তে উত্তেজনা থামছে না। এমন পরিস্থিতিতে ইসরাইলের সঙ্গে আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে লেবাননের রাজনৈতিক ও সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, তারা যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে চলবে, তবে ইসরাইলের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় অংশ নেবে না। খবর রয়টার্স।
হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরাইলের দখল ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা তাদের বৈধ অধিকার। সংগঠনটি জানায়, তারা লেবাননের সেনাবাহিনীর পাশে থেকে দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “আমরা আমাদের দেশ, সেনাবাহিনী ও জনগণের সঙ্গে আছি। আমাদের ওপর আক্রমণ হলে তার প্রতিরোধ করা আমাদের অধিকার।”
সংগঠনটির দাবি, যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকা সত্ত্বেও ইসরাইল লেবাননের ভূখণ্ডে হামলা চালাচ্ছে এবং দেশটিকে চাপে রাখার চেষ্টা করছে। নিজেদের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার একমাত্র উপায় প্রতিরোধ বলেই মনে করে হিজবুল্লাহ।
গত সপ্তাহে সীমান্ত অতিক্রম করে এক পৌর কর্মচারীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে, যা লেবাননে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। এ ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন সেনাবাহিনীর কমান্ডারকে দক্ষিণ সীমান্তে যেকোনো ইসরাইলি অনুপ্রবেশ প্রতিহত করার নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা বাড়তে থাকে। অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ২০২৪ সালের নভেম্বরে দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও, সীমান্তে সংঘর্ষ ও উত্তেজনা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
ডেস্ক রিপোর্ট