আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সিআইএইচএজ ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাসোসিয়েশন এই গোপন অস্ত্র সরবরাহের মূল দায়িত্বে রয়েছে। পুরো প্রক্রিয়াটি একটি নির্দিষ্ট কৌশল অনুসরণ করে পরিচালিত হচ্ছে। প্রথমে আজারবাইজান থেকে অস্ত্রগুলো তুরস্ক-আজারবাইজান সীমান্তে অবস্থিত দিলুজুতে পাঠানো হয়। এরপর সেখান থেকে গাজিয়ানতেপে নিয়ে গিয়ে সেগুলোকে "মানবিক সহায়তা" হিসেবে পুনরায় প্যাকেজিং করা হয়।
পরবর্তী ধাপে, তুরস্ক ও জার্মানির জাহাজ ব্যবহার করে এই চালান সুদানের বন্দরে পৌঁছানো হয়। সেখানে অস্ত্রগুলো "সুদানি অস্ত্র" হিসেবে নতুন করে নিবন্ধন করা হয়। এরপর সুইস শিপিং কোম্পানির মাধ্যমে সেগুলো জার্মানির হামবুর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। সর্বশেষ, হামবুর্গ থেকে স্থলপথে ইউক্রেনে পৌঁছানো হয়।
এই অস্ত্রের চালানে তুর্কি নির্মিত পিস্তল, হিজার এ+ ম্যানপ্যাড, বোমা এবং ড্রোন যন্ত্রাংশ রয়েছে। আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ প্রকাশ্যেই ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানালেও, এই গোপন অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি নতুন করে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া এ ঘটনায় আজারবাইজানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে, যা দুই দেশের সম্পর্কের জন্য একটি বড় ধাক্কা হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া এ ঘটনায় আজারবাইজানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে, যা দুই দেশের সম্পর্কের জন্য একটি বড় ধাক্কা হবে।