পাকিস্তানে সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়াবহ আকার নিচ্ছে, বিশেষ করে পাঞ্জাব প্রদেশে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে অন্তত ১৭ জনের মৃত্যুসহ দেড় হাজারের বেশি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একদিনে হাজারের বেশি বিপদগ্রস্ত মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আর্থিক সহায়তার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বন্যার পরিপ্রেক্ষিতে চেনাব, ঝিলাম ও সুতলেজ নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে, ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে শিয়ালকোট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য, এ বছর পাঞ্জাবে ৪৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে এবং আবহাওয়া অধিদফতর ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি চার দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা। জুনে বর্ষাকাল শুরু হওয়ার পর দেশটিতে বন্যায় প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮১৯ জনে, যার অর্ধেকের বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে আগস্ট মাসে। প্রতিবেশী দেশ ভারতেও চলতি মাসে বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ৬০ জনের প্রাণহানি হয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার জলবায়ু সংকটের বিপর্যয় আরও স্পষ্ট করে তুলেছে।