প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দুর্ঘটনার এই দুঃসহ স্মৃতি শুধু পরিবারের নয়, পুরো জাতির জন্যই গভীর বেদনার। তবে একইসঙ্গে তিন শিক্ষক যে আত্মত্যাগ ও মানবতার দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, তা দেশের সবার জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। তিনি জানান, তাদের স্মৃতি ধরে রাখতে এবং তাদের অবদান স্মরণীয় করে রাখতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।
সাক্ষাৎকালে নিহত শিক্ষকদের পরিবার তাদের অভিজ্ঞতা ও শেষ স্মৃতির কথা তুলে ধরেন। মাহেরীন চৌধুরীর স্বামী মনসুর হেলাল জানান, জীবনের শেষ মুহূর্তে নিজের সন্তানদের কথা না ভেবে তিনি শিক্ষার্থীদের জীবন বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। একইভাবে মাসুকা বেগমের পরিবার বলেন, তিনি পরিবার ও শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বদা নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। আর ২৪ দিন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে পরাজিত হওয়া মাহফুজা খাতুনের মেয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, মায়ের চলে যাওয়া তাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
প্রধান উপদেষ্টা পরিবারগুলোর কথা শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, “তাদের আত্মত্যাগ সবার ভেতর নাড়া দিয়েছে। আজও প্রশ্ন আসে—আমি যদি তাদের স্থানে থাকতাম, আমি কি একইভাবে প্রাণ বিসর্জন দিতে পারতাম?” তিনি আরও যোগ করেন, “এই শিক্ষকরা আমাদের গর্ব, আমাদের অনুপ্রেরণা। তাদের স্মৃতি ধরে রাখতে যা প্রয়োজন, সরকার তা করবে।”
এ সময় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।