প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক চুক্তি (জেসিপিওএ) থেকে সরে এসে ভেবেছিল কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে ইরানকে আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। কিন্তু বাস্তবে ইরান "ধৈর্য ও প্রতিরোধ" কৌশল অনুসরণ করে অর্থনীতি সচল রাখতে, পারমাণবিক কর্মসূচি ত্বরান্বিত করতে এবং আঞ্চলিক জোটকে আরও সক্রিয় করতে সক্ষম হয়।
ফরেন অ্যাফেয়ার্স জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহারের পর শুধু ইরানের পরমাণু কর্মসূচি চলমান ছিল না, বরং একই সময়ে ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেনে প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো মার্কিন স্বার্থ ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে কার্যক্রম জোরদার করে। সৌদি আরবের বাকিক তেল স্থাপনায় হামলা এবং ইয়েমেন থেকে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ এই সক্ষমতার উদাহরণ।
প্রতিবেদন আরও উল্লেখ করে, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আইআরজিসি’র প্রভাবশালী কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার পরও ইরান পিছু হটে নি। বরং আইন আল-আসাদ মার্কিন ঘাঁটিতে সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে ওয়াশিংটনের দুর্বলতা প্রকাশ পায়।
এছাড়া আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার একাধিক প্রতিবেদনের পরও জেসিপিওএ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহার ইরানকে এ বার্তা দেয় যে ওয়াশিংটন একটি অবিশ্বস্ত অংশীদার, যার নীতির ধারাবাহিকতার কোনো নিশ্চয়তা নেই। ফলে অস্থায়ী চুক্তির উপর নির্ভর না করে তেহরান পারমাণবিক, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সক্ষমতা উন্নত করেছে। বর্তমানে ইরানি ড্রোন বিশ্বে অন্যতম কার্যকর যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে স্বীকৃত।
ফরেন অ্যাফেয়ার্সের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, এখন এটা স্পষ্ট যে কেবল চাপ ও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ইরানকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করা সম্ভব নয়।