কানাডার সিবিসি নিউজ জানিয়েছে, দেশটির অভিবাসন, শরণার্থী ও নাগরিকত্ব বিভাগ (IRCC) এবং কানাডা বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সি (CBSA) যৌথভাবে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করেছে। এই গ্রুপ যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদার সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ে ভ্রমণ ভিসার প্রতারণামূলক আবেদন শনাক্ত ও বাতিলের নতুন নীতিমালা তৈরি করছে।
সরকারি নথিতে ভারত ও বাংলাদেশকে ‘নির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জিং দেশ’ হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে বৃহৎ পরিসরে ভিসা বাতিলের আইনি ক্ষমতা প্রদান জরুরি হয়ে পড়েছে।
এই উদ্যোগের আওতায় সন্দেহজনক বা প্রতারণামূলক আবেদন দ্রুত শনাক্ত করে প্রয়োজন হলে তা বাতিল করার ক্ষমতা দেওয়া হবে। নথিতে আরও বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপ প্রয়োগ করা হতে পারে মহামারি, যুদ্ধ বা নির্দিষ্ট দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে। যদিও অভিবাসনমন্ত্রী লেনা দিয়াব প্রকাশ্যে বলেছেন, এই ক্ষমতা মূলত জরুরি পরিস্থিতি—যেমন মহামারি বা যুদ্ধ—মোকাবিলার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।
সরকার ইতিমধ্যে একটি নতুন বিল পার্লামেন্টে তুলেছে, যার মাধ্যমে এই ক্ষমতাকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হবে। বিলটি দ্রুত পাস করানোই সরকারের লক্ষ্য।
তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মাঝামাঝি থেকে কানাডায় ভারতীয় নাগরিকদের রাজনৈতিক আশ্রয় (asylum) আবেদনের সংখ্যা হঠাৎ বৃদ্ধি পেয়েছে—২০২৩ সালের মে মাসে যেখানে মাসিক গড় ছিল ৫০০, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে তা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ২,০০০।
এই প্রস্তাব নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে সুশীলসমাজের ৩০টির বেশি সংগঠন। মানবাধিকার সংগঠন Migrant Rights Network সতর্ক করেছে, এই ক্ষমতা সরকারের হাতে “গণবহিষ্কারের হাতিয়ার” তৈরি করতে পারে।
তবে IRCC দাবি করেছে, নতুন প্রস্তাবটি কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বা দেশের নাগরিকদের লক্ষ্য করে তৈরি হয়নি, বরং অভিবাসন প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও জালিয়াতিমুক্ত রাখতে এটি প্রণয়ন করা হচ্ছে।
ডেস্ক রিপোর্ট