মিসরীয় কর্মকর্তার ব্যাখ্যা অনুযায়ী চুক্তিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়নি যে অস্ত্রগুলো কার কাছে থাকবে; তবে তা ইসরায়েল বা কোনো অ-আরব পক্ষের হাতে হস্তান্তর হবে না। বিষয়টি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে গাজার সশস্ত্র ক্ষমতা চূড়ান্তভাবে ভেঙে ফেলা না হয়—অর্থাৎ ‘নিরস্ত্রীকরণ’ (disarmament) নয়, বরং অস্ত্রকে অচল রাখা (freeze) হবে।
তবে ইসরায়েলি পক্ষের দাবি আলাদা। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, চুক্তির পরবর্তী ধাপে হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ করতে হবে এবং ততদিন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় উপস্থিতি বজায় রাখবে যতক্ষণ না হামাস অস্ত্র সমর্পণ করে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই দুই ঘোষণার মধ্যে পার্থক্যই ভবিষ্যত বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণে বড় দ্বান্দ্ব সৃষ্টি করতে পারে — বিশেষত কারা, কীভাবে এবং কত সময় ধরে অস্ত্র 'ফ্রিজ' রাখবে তা নির্ধারণ না হওয়ায় দীর্ঘকালীন নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় জটিলতা রয়ে গেছে।
আলোচ্য প্রস্তাবটির একটি ভিত্তি ছিল ৫–১০ বছরের স্থায়ী যুদ্ধবিরতি; মিসর, কাতার ও অন্যান্য মধ্যস্থতাকারী দেশ এতে মধ্যস্থতা করেছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, অস্ত্র 'ফ্রিজ' ব্যবস্থা যদি বাস্তবে কাগজেই সীমাবদ্ধ থাকে তাহলে তা ইসরায়েল-হামাস বিতর্কে নতুন বিভাজন তৈরি করতে পারে; অন্যদিকে পরিষ্কার মনিটরিং, ধাপে ধাপে ভেরিফিকেশন ও বহুপাক্ষিক সম্মতি থাকলে এটি আপাতত নির্মমতার তীব্রতা কমাতে ভূমিকা রাখতে পারে।