গাজা যুদ্ধে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিতকরণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমিকা স্বীকার করেছেন হামাস নেতা ড. বাসেম নাইম, তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন যে, গাজার ভবিষ্যত প্রশাসক হিসেবে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারকে ফিলিস্তিনিরা মেনে নেবে না। তিনি জানান, গাজা পরবর্তী শাসনে খোলা মঞ্চে ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব থাকবে এবং তারা নিরস্ত্র থাকবে না।
গত মাসের গোড়ার দিকে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে আমেরিকা ও আরব-মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর ট্রাম্পের নেতৃত্বে ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয় যা গাজা যুদ্ধে স্থায়ী চুক্তির পথ প্রশস্ত করার লক্ষ্য রাখে। এই পরিকল্পনায় টনি ব্লেয়ারের নেতৃত্বে ‘শান্তি পরিষদ’ গঠনের কথা বলা হয়েছে, যা গাজার শাসন পরিচালনার জন্য একটি ফিলিস্তিনি কারিগরি কমিটির তত্ত্বাবধান করবে। তবে টনি ব্লেয়ারের বিষয়টি ফিলিস্তিনি ও হামাস নেতাদের মধ্যে ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
গত ৬ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় শারম আল-শেখে গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাস ও ইসরাইলের প্রতিনিধিদের পরোক্ষ আলোচনা শুরু হয়। তিন দিন পর ৮ অক্টোবর দুই পক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের প্রথম ধাপ মেনে নিয়েছে। ১০ অক্টোবরই আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরাইলি সরকার হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি অনুমোদন করে এবং গাজার ভিতর থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু হয়েছে।
সাক্ষাৎকারে ড. নাইম নিশ্চিত করেন যে, যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ বড় ভূমিকা পালন করেছে, তবে ইসরাইলের উপর চাপ অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি বলেন, হামাস গাজার শাসন ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে দিতে প্রস্তুত, তবে তারা মাঠে সক্রিয় অংশগ্রহণ করবে এবং অস্ত্রশস্ত্র ত্যাগ করবে না।
টনি ব্লেয়ারের ভূমিকা নিয়ে ড. নাইম বলেন, তার আফগানিস্তান এবং ইরাক যুদ্ধের ইতিহাস ফিলিস্তিনি, আরব ও মুসলিম সমাজের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করেছে। তারা মনে করে টনি ব্লেয়ার ওই যুদ্ধগুলোতে লক্ষ লক্ষ নিরীহ মানুষের মৃত্যুতে দায়ী, যা তাঁকে গাজার প্রশাসক হিসেবে গ্রহণের সম্ভাবনাকে ক্ষুণ্ণ করে।