গত শুক্রবার চীন, রাশিয়া, ইরান ও পাকিস্তান মিলিতভাবে ঘোষণা করেছে যে—they oppose any attempt to re-establish foreign military bases in war-torn Afghanistan — যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাগরাম বিমানঘাঁটি ফের পেন্টাগনের অধীনে নেয়ার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে তারা স্পষ্টভাবে বিরোধিতা জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও ভূ-অখণ্ডতা বজায় রাখা দরকার এবং দেশটির বর্তমান সংকটকে সুযোগ করে এনে কোনো বাহ্যিক শক্তি সেখানে পুনরায় সামরিক উপস্থিতি বাড়াবে—এই দাবি প্রত্যাহারযোগ্য নয়। বেইজিংয়ে অভ্যন্তরীণ একটি সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এই যৌথ বক্তব্যের কথা উল্লেখ করেন; অনানুষ্ঠানিক ওই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়েদ আব্বাস আরাঘচি, চীনের আফগানিস্তান বিষয়ক বিশেষ দূত ইউয়ে শিয়াওবং এবং পাকিস্তানের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক উমের সিদ্দিক।
এ যৌথ অবস্থান জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের প্রেক্ষিতে নিউইয়র্কে এবং বেইজিংয়ে পরস্পর সংযুক্ত আলোচনার ধারা হিসেবে নেওয়া। পেন্টাগনের কাছে বাগরাম ঘাঁটি হস্তান্তরের আহ্বান—প্রেসিডেন্টের সাম্প্রতিক বক্তব্যের পর—টোন তীব্র হলে দেশগুলো এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে বিশেষভাবে পুনর্ব্যক্ত করা হয় যে, আফগানিস্তানের সংকটকে অদূরদর্শীভাবে সামরিকভাবে মোকাবিলা করা গেলে তা সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা বাড়াবে এবং স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা ও পুনর্গঠনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
এই আলোচনা শুধুই কূটনৈতিক আশ্বাস নয়—এতে ভূ-রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ও অঞ্চলে সামরিক সামঞ্জস্যের ভবিষ্যত কৌশল পরিস্কার থাকতে পারে। প্রতিবেশী শক্তিগুলো দাবি করেছে, তারা আফগান জনগণের রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে সম্মান করবে এবং যে কোনো বহিরাগত সামরিক উপস্থিতি verhindern করতে একযোগে কাজ করবে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি ছিল—যদি বাগরাম পুনরায় পেন্টাগনের কাছে হস্তান্তর না করা হয়, তাহলে সে অনুযায়ী কড়া পদক্ষেপ নেয়ার ইঙ্গিত দেয়া হয়েছিল। এতেই স্পষ্ট যে, বাগরামের ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্ত কেবল আফগান সমস্যা সমাধানের অংশ নয়—এটি একটি বৃহত্তর কৌশলগত লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে দাঁড়িয়েছে যা অঞ্চলের নিরাপত্তা চিত্রকে পুনর্বিন্যাস করতে পারে।