ফিলিস্তিন ও মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলি আগ্রাসন ও অপরাধের দায়ে দেশটিকে আন্তর্জাতিকভাবে জবাবদিহির আওতায় আনতে বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল-থানি। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দোহায় আয়োজিত আরব-ইসলামি সম্মেলনে তিনি এ বক্তব্য দেন।
সম্প্রতি আকাশসীমা লঙ্ঘন করে দোহায় ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর আরব ও মুসলিম বিশ্ব কাতারের পাশে অবস্থান নিয়েছে। সমর্থনের অংশ হিসেবে দোহায় শুরু হওয়া এই শীর্ষ সম্মেলনে আরব রাষ্ট্রগুলো ইসরাইলি হামলাকে ‘বর্বর’ আখ্যা দিয়ে কাতারের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নেয়া আইনগত পদক্ষেপে সমর্থন জানিয়েছে।
সম্মেলনে কাতারের প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, এই হামলার বিরুদ্ধে কঠোর ও দৃঢ় ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্বৈত নীতি পরিত্যাগ করতে হবে এবং ইসরাইলকে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে চলমান অপরাধ ও মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহির মুখোমুখি করতে হবে। তাঁর ভাষায়, ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর যে নির্যাতন চলছে, তা গণহত্যা যুদ্ধ ছাড়া আর কিছু নয় এবং জোরপূর্বক স্থানচ্যুত করার এসব প্রচেষ্টা কখনোই সফল হবে না।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ঐক্য গড়ে উঠছে, যদিও এটি সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও ইসরাইলের সম্পর্কের ওপর নতুন টানাপোড়েন তৈরি করেছে। ২০২০ সালে আমিরাত ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছিল।
প্রধানমন্ত্রী আল-থানি অভিযোগ করেন, ইসরাইল সরকার একের পর এক শান্তিপ্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধের পরিধি বাড়াচ্ছে, যা শুধু ফিলিস্তিন নয়, পুরো অঞ্চলের জন্য গুরুতর হুমকি তৈরি করছে।
গত সপ্তাহে দোহায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরাইলি হামলায় অন্তত পাঁচ সদস্য নিহত হলেও শীর্ষ নেতারা অক্ষত রয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে কাতারের প্রতি সংহতি জানাতে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।