১৩ আগস্ট সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত প্লাস্টিক দূষণবিষয়ক আন্তঃসরকারি আলোচনাসভা (আইএনসি-৫.২)-এর দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল এই অবস্থান জানায়। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মতে, বর্তমান খসড়ায় সরবরাহপক্ষীয় নিয়ন্ত্রণ, ক্ষতিকর রাসায়নিকের সীমাবদ্ধতা, আন্তঃসীমান্ত দূষণ প্রতিরোধ এবং বাধ্যতামূলক বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া অনুপস্থিত। বরং এটি জটিল ও স্বেচ্ছাসেবী পদ্ধতির ওপর নির্ভর করছে, যা বৈশ্বিক সংকটের জরুরিতাকে উপেক্ষা করে।
বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল স্পষ্ট করেছে, অর্থবহ সংশোধন ছাড়া এই খসড়া সমর্থনযোগ্য নয়। তাদের মতে, উৎপাদকদের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা এবং সবচেয়ে ক্ষতিকর প্লাস্টিক পণ্য বন্ধে বাধ্যতামূলক ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।
একই দিনে অনুষ্ঠিত এক অনানুষ্ঠানিক মন্ত্রিপর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় শক্তিশালী বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব, লক্ষ্যভিত্তিক অর্থায়ন এবং সার্কুলার অর্থনীতি মডেল বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি নিম্নপ্রবাহী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ঝুঁকির কথা তুলে ধরে আন্তঃসীমান্ত প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে সমন্বিত বৈশ্বিক কাঠামো গড়ে তোলার আহ্বান জানান।