গ্লোবাল প্লাস্টিকস চুক্তির খসড়া প্রত্যাখ্যান, কঠোর পদক্ষেপের আহ্বান বাংলাদেশের

আপলোড সময় : ১৪-০৮-২০২৫ ০৯:১১:৩৭ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১৪-০৮-২০২৫ ০৯:১১:৩৭ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ প্রস্তাবিত গ্লোবাল প্লাস্টিকস চুক্তির সর্বশেষ খসড়া প্রত্যাখ্যান করেছে, কারণ এটি প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় জাতিসংঘ পরিবেশ পরিষদের প্রস্তাব ৫/১৪ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনি বাধ্যবাধকতা ও কার্যকর ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে। দেশটি আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, যা প্লাস্টিক উৎপাদন থেকে শুরু করে এর পুরো জীবনচক্র এবং স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত প্রভাব মোকাবিলা করবে।
 
১৩ আগস্ট সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত প্লাস্টিক দূষণবিষয়ক আন্তঃসরকারি আলোচনাসভা (আইএনসি-৫.২)-এর দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল এই অবস্থান জানায়। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মতে, বর্তমান খসড়ায় সরবরাহপক্ষীয় নিয়ন্ত্রণ, ক্ষতিকর রাসায়নিকের সীমাবদ্ধতা, আন্তঃসীমান্ত দূষণ প্রতিরোধ এবং বাধ্যতামূলক বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া অনুপস্থিত। বরং এটি জটিল ও স্বেচ্ছাসেবী পদ্ধতির ওপর নির্ভর করছে, যা বৈশ্বিক সংকটের জরুরিতাকে উপেক্ষা করে।
 
বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল স্পষ্ট করেছে, অর্থবহ সংশোধন ছাড়া এই খসড়া সমর্থনযোগ্য নয়। তাদের মতে, উৎপাদকদের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা এবং সবচেয়ে ক্ষতিকর প্লাস্টিক পণ্য বন্ধে বাধ্যতামূলক ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।
 
একই দিনে অনুষ্ঠিত এক অনানুষ্ঠানিক মন্ত্রিপর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় শক্তিশালী বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব, লক্ষ্যভিত্তিক অর্থায়ন এবং সার্কুলার অর্থনীতি মডেল বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি নিম্নপ্রবাহী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ঝুঁকির কথা তুলে ধরে আন্তঃসীমান্ত প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে সমন্বিত বৈশ্বিক কাঠামো গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

সম্পাদকীয় :

লাইসেন্স নং: TRAD/DNCC/013106/2024 বার্তা বিভাগ: [email protected] অফিস: [email protected]

অফিস :

যোগাযোগ: মিরপুর, শেওড়াপাড়া হটলাইন: 09638001009 চাকুরী: [email protected]