জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বাতিলজনিত শূন্য আসন পূরণের পর ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ক্লাস আগামী ২১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে।
গতকাল বুধবার (১৩ আগস্ট ২০২৫) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভা সূত্রে জানা গেছে, চলতি শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও বিভিন্ন কারণে কিছু শিক্ষার্থী তাদের ভর্তি বাতিল করেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ ও বিভাগে শূন্য আসন সৃষ্টি হয়।
এসব শূন্য আসনে ভর্তিচ্ছুদের ভর্তির সুযোগ প্রদান করার উদ্দেশ্যে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুনরায় ভর্তি প্রক্রিয়া চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়। ভর্তি বাতিলজনিত শূন্য আসনে মেধাক্রম অনুসারে, শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পরই ক্লাস শুরু হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মতে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে শিক্ষার্থীদের মানসম্মত ও সময়োপযোগী শিক্ষা প্রদানে অঙ্গীকারবদ্ধ। ভর্তি প্রক্রিয়ায় কোনো আসন যেন শূন্য না থাকে এবং যোগ্য শিক্ষার্থীরা সুযোগ পান—সে বিষয়টি নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ভর্তি কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর নির্ধারিত সময়ে পাঠদান শুরু করতে, সব বিভাগকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করার নির্দেশ প্রদান করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সদস্যদের মতে, ভর্তি বাতিলজনিত শূন্য আসন পূরণের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও ন্যায়সংগত প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে অনলাইনে প্রকাশিত মেধাতালিকার ভিত্তিতে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে।
এ ছাড়া, ভর্তি-সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট এবং নোটিশ বোর্ডে প্রকাশ করা হবে, যাতে কোনো শিক্ষার্থী তথ্যের অভাবে সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হন।
উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে বিভিন্ন অনুষদ ও ইনস্টিটিউটের অধীনে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করছে। ইতোমধ্যে অধিকাংশ বিভাগের ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হলেও শূন্য আসন পূরণের পর আগামী ২১ সেপ্টেম্বর থেকে সব বিভাগে একযোগে ক্লাস শুরু হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশা করছে, নির্ধারিত সময়ে ক্লাস শুরুর মাধ্যমে শিক্ষাবর্ষের একাডেমিক ক্যালেন্ডার সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হবে এবং শিক্ষার্থীরা পূর্ণাঙ্গ একাডেমিক পরিবেশে পাঠ গ্রহণের সুযোগ পাবেন।