সুপারশপে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ হলেও বাড়ছে ক্ষতিকারক ও নিষিদ্ধ পলিপ্রপিলিনের তৈরি টিস্যু ব্যাগের ব্যবহার। সরকারের নিয়মিত অভিযান ও জরিমানার পরও এ প্রবণতা কমছে না। পরিবেশবিদ ও ব্যবহারকারীদের মতে, দীর্ঘ সময়েও বাজারে সহজলভ্য বিকল্প তৈরি না হওয়ায় এ সমস্যার কার্যকর সমাধান আসছে না।
গত বছরের আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ঘোষণা দেন, ২৩ বছর আগে নেয়া পলিথিন নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। সেই অনুযায়ী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো ও প্রয়োজনে বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
প্লাস্টিক শিল্পের সংগঠন বিপিজিএমইএ মনে করে, শুধু পলিথিন বন্ধ করে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়; বরং উন্নত বিশ্বের মতো বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জোর দিতে হবে। সংগঠনের সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, “সমস্যা পলিথিনের নয়, সমস্যা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার। এই খাত উন্নত না হলে সমস্যার সমাধান আসবে না।”
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পলিথিনের মতো ক্ষতিকর উপাদান নিষিদ্ধ করার আগে প্রয়োজন ছিল বিস্তারিত গবেষণা এবং বিকল্প পণ্যের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা। তারা মনে করেন, পরিবেশ সুরক্ষায় সরকারকেই বাজারে কার্যকর ও সহজে পাওয়া যায় এমন বিকল্পের ব্যবস্থা করতে হবে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ৪ আগস্ট পর্যন্ত ৫ শতাধিক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময়ে ৭১ লাখ টাকা জরিমানা এবং ১৬টি পলিথিন কারখানা সিলগালা করা হয়েছে। যদিও এই পদক্ষেপে সুপারশপে পলিথিনের ব্যবহার প্রায় বন্ধ হয়েছে, তবুও নিষিদ্ধ পলিপ্রপিলিন টিস্যু ব্যাগের ব্যবহার এখনও অব্যাহত রয়েছে।