৮০ বছরের মধ্যে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইউরোপের দেশ ফ্রান্স। প্যারিসের আয়তনের চেয়েও বিস্তীর্ণ অঞ্চলে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। মারা গেছেন অন্তত একজন।
দেশটির অড অঞ্চলে ৩৭ হাজার একরের বেশি জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দাবানল নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন দুই হাজারের বেশি দমকলকর্মী। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে আড়াই হাজারের বেশি ঘরবাড়ি। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাতাসের গতিবেগের কারণে খুব দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ছে আগুন।দাবানল কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বাইরু। তিনি বলেন, ‘এটি এক নজিরবিহীন দুর্যোগ।’
এরইমধ্যে ১৫ হাজার হেক্টরের বেশি এলাকা পুড়ে ছাই হয়েছে, যা আগের কয়েক বছরে পুরো ফ্রান্সজুড়ে পোড়া এলাকার সমান। ১৯৪৯ সালের পর এত বড় একক দাবানল আর হয়নি বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রেতাইয়ো।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন এবং ‘সর্বোচ্চ সতর্কতা’ অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়াও সবাইকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে অনুরোধ করেছেন।
এদিকে দাবানলের সঙ্গে লড়াই করছে উত্তরপশ্চিম ও দক্ষিণ স্পেনও। আবাসিক অঞ্চল রক্ষায় কাজ করছেন শত শত দমকলকর্মী। সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে দক্ষিণ অঞ্চল। তাই স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের দ্রুত সরিয়ে নেয়া হয়েছে অস্থায়ী ক্যাম্পে। এরইমধ্যে উত্তরাঞ্চলের গ্যালিসিয়ার পন্তেসেছো শহরের ১৭০ হেক্টরের বেশি জায়গা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
অন্যদিকে আগ্রাসী আগুনে পুড়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের ৮৩ হাজার একরের বেশি এলাকা। দাবানল মোকাবিলায় বিমান ব্যবহার করছে দমকল কর্মীরা। সান্তা মারিয়ার শুষ্ক আবহাওয়া ও বাতাসের গতিবেগকেই দাবানল দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কারণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।