ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য হরিয়ানার ফরিদাবাদে এক চিকিৎসকের ভাড়া নেওয়া দুটি বাসা থেকে প্রায় ২ হাজার ৯০০ কেজি বিস্ফোরক, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে স্থানীয় পুলিশ। অভিযুক্ত চিকিৎসক জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা ডা. মুজাম্মিল শাকিলকে গত সপ্তাহেই জঙ্গি সংগঠন জৈইশ-ই-মোহাম্মদের (JeM) সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ফরিদাবাদের আল-ফালাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কর্মরত ডা. শাকিলকে গ্রেফতারের ১০ দিন পর তার দেওয়া তথ্যে রোববার ধোজ এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে ভাড়া নেওয়া বাসা থেকে ৩৫০ কেজি বিস্ফোরক, ২০টি টাইমার, একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হয়। ধারণা করা হচ্ছে, উদ্ধারকৃত বিস্ফোরক অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, যা আরডিএক্স তৈরির মূল উপাদান।
এরপর সোমবার সকাল থেকে ফরিদাবাদের ফতেহপুর তাগা গ্রামে তার আরেকটি বাসায় অভিযান চালিয়ে আরও ২ হাজার ৫৬৩ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করে পুলিশ। ওই বাড়ি থেকে ৮ রাউন্ড গুলি, একটি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, এবং কয়েকটি বড় ও ছোট স্যুটকেসও উদ্ধার করা হয়। বাড়িটির মালিক একজন মৌলানা, তাকেও হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে হরিয়ানা, জম্মু ও কাশ্মীরসহ বিভিন্ন রাজ্যে পুলিশের অভিযানে একটি সন্ত্রাসী চক্রের সন্ধান মিলেছে, যেখানে চিকিৎসকসহ উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তিরা জড়িত ছিলেন।
একই অভিযোগে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর থেকে কাশ্মীরি চিকিৎসক ডা. আদিল আহমেদ রাথারকে জৈইশ-ই-মোহাম্মদের সমর্থনে প্রচারণা চালানোর অভিযোগে আটক করা হয়। ডা. শাকিলের সহযোগী হিসেবে আল-ফালাহ হাসপাতালের আরও এক নারী চিকিৎসককেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার গাড়ি থেকে একটি অ্যাসল্ট রাইফেল ও পিস্তল উদ্ধার হয়।
গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্যে জানা যায়, এই চক্রের আরও পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে—শ্রীনগর থেকে আরিফ নিসার দার, ইয়াসির-উল-আশরাফ ও মাকসুদ আহমেদ দার; শোপিয়ান থেকে মৌলভি ইরফান আহমেদ; এবং গান্দেরবাল থেকে জমির আহমেদ আহঙ্গের। তাদের কাছ থেকে বিস্ফোরক তৈরির বই ও আইইডি নির্মাণ সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি
ডেস্ক রিপোর্ট