২০২১-২২ অর্থবছরে তৈরি পোশাক খাতের ৪ হাজার ২৬১ কোটি ডলারের মধ্যে ৮২.৪ শতাংশ আয় এসেছিল ট্রাউজারস, টি-শার্ট, সোয়েটার, শার্ট ও আন্ডারওয়্যার থেকে। তবে পরবর্তী অর্থবছরগুলোতে এই নির্ভরতা ধীরে ধীরে কমছে।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি ফজলে এহসান শামীম জানিয়েছেন, হুডি, স্পোর্টসওয়্যারসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক তৈরি হওয়ায় বৈচিত্র্য বাড়ছে এবং এটি রফতানি আয় বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, পণ্যের তালিকায় নতুন নতুন আইটেম যুক্ত হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে আরও বৈচিত্র্যকরণের সুযোগ তৈরি করবে। এতে সীমিত জ্বালানি ও মানবসম্পদ ব্যবহার করেও বেশি ভ্যালু অ্যাডেড পণ্য রফতানি করা সম্ভব হবে।
তবে বিকেএমইএ মনে করে, দীর্ঘমেয়াদে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে সরকারের নীতিগত সহায়তা প্রয়োজন। এলডিসি উত্তরণের পর বৈচিত্র্যময় পোশাকের বাজার সম্প্রসারণে ব্যক্তি উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারি প্রণোদনা ও নীতি সহায়তা অত্যাবশ্যক।
ফাস্ট ফ্যাশনের চাহিদা পূরণে দ্রুত পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাস্টমস জটিলতা ও অন্যান্য প্রশাসনিক প্রতিবন্ধকতা দূর করার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।