ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আইআরজিসির মুখপাত্রের পারমাণবিক প্রতীক বহন ​গাজা যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে আরব নেতাদের বৈঠক ফিলিস্তিনের স্বীকৃতিতে জাপানের পিছু হটা: মার্কিন চাপে নত স্বীকারের অভিযোগ সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্টের যুক্তরাষ্ট্র সফর ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি প্রত্যাখ্যান করল ইসরায়েল, বসতি দ্বিগুণ করার ঘোষণা নেতানিয়াহুর ফিলিস্তিনের স্বীকৃতিকে ‘কূটনৈতিক বিপর্যয়’ বলছেন ইসরায়েলি বিরোধী দলীয় নেতা সিডনিতে শায়খ আহমাদুল্লাহ: মানবসভ্যতা টিকিয়ে রাখতে পরিবার ব্যবস্থার বিকল্প নেই ইরানে ফুসফুস ক্যান্সারের স্মার্ট ভ্যাকসিন তৈরি, যুগান্তকারী আবিষ্কারের দাবি বাগরাম বিমান ঘাঁটি নিয়ে ট্রাম্পের দাবি, রাশিয়ার পাল্টা প্রতিক্রিয়া ও তালেবানের কঠোর জবাব ট্রাম্পের H-1B ভিসা ফি নিয়ে হোয়াইট হাউসের নতুন ব্যাখ্যা: ১ লাখ ডলার বার্ষিক নয়, এককালীন যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য নিরাপত্তা জরিপ বন্ধ ঘোষণা: ট্রম্প প্রশাসনের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত রুশ তেল আমদানিতে ইইউ’র চাপে হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়া বাল্টিক অঞ্চলে কমছে মার্কিন সহায়তা, বাড়ছে উত্তেজনা ইউক্রেনে ভাড়াটে যোদ্ধাদের আটকে রাখার অভিযোগ: চাঞ্চল্যকর দাবি মানবাধিকার কর্মীর নরওয়ের ৮৫ বিলিয়ন ক্রোনার সহায়তা নিয়ে সমালোচনা ইউরোপের পদক্ষেপের প্রতিবাদে আইএইএ-এর সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করল ইরান সিনাইয়ে মিসরের সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধি: শান্তি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ ইসরায়েলের ট্রাম্পের ১৫ বিলিয়ন ডলারের মামলা খারিজ করল আদালত: নিউইয়র্ক টাইমসের জয় ​৬ বিলিয়ন ডলারের সামরিক প্যাকেজ: ইসরায়েলকে নতুন অস্ত্র দেবে যুক্তরাষ্ট্র ইতালিতে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ: রাভেনা বন্দরে অস্ত্রবাহী ট্রাক আটকালেন শ্রমিকরা

গুমে জড়িত ছিল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা: গুম কমিশনের প্রতিবেদন

  • আপলোড সময় : ২৪-০৬-২০২৫ ০১:৪১:৩৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৪-০৬-২০২৫ ০১:৪১:৩৪ পূর্বাহ্ন
গুমে জড়িত ছিল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা: গুম কমিশনের প্রতিবেদন
আন্তরাষ্ট্রীয় গুমের সঙ্গে জড়িত ছিল বাংলাদেশ ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে গুম হওয়া ব্যক্তিদের আদান-প্রদান করতেন। গুম কমিশনের দ্বিতীয় প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। ৪ জুন এই প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেন কমিশন।
 
কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অনেক নাগরিককে গুম করে অবৈধভাবে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হতো, আবার ভারত থেকেও অনেককে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হতো—পাঠিয়ে দেওয়া হতো। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের চাওয়া ও প্রয়োজন অনুযায়ী গুম করে অবৈধভাবে সীমান্ত দিয়ে আদান-প্রদান করা হতো। এই কর্মকাণ্ডকে কমিশন ‘আন্তরাষ্ট্রীয় গুমপ্রক্রিয়া’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
 
প্রতিবেদনে অন্তত পাঁচজন গুম হওয়া ভুক্তভোগী ব্যক্তির জবানবন্দি নিয়েছে কমিশন। যাঁরা গুমের পর ভারতে পাচার ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্দেহভাজন এক ব্যক্তি প্রথমে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের হাতে আটক হন। পরে বাংলাদেশের ডিজিএফআই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছে প্রস্তাব পাঠায়, যাতে আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।
 
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কোনো আদালতের অনুমতি বা নথিভুক্ত মামলার ভিত্তি ছাড়াই বিচারবহির্ভূতভাবে এই পুরো প্রক্রিয়া হয়। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার নামে এসব কর্মকাণ্ড পরিচালিত হলেও ব্যক্তি-অধিকার ও মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে।
একাধিক ঘটনায় দেখা গেছে, ভারত থেকে ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের আবার ডিজিএফআই ও র‍্যাবের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও নির্যাতন করা হয়েছে। কাউকে কাউকে আবারও নিখোঁজ করে ফেলা হয়েছে, যার কোনো খোঁজ পরিবারের কাছে নেই।
 
ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার চাওয়া অনুযায়ী আবার অনেককে গুম করে ভারতে পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
প্রতিবেদনে একজন বন্দীর অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়, ‘আমাকে চোখ বেঁধে ভারতের গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আবার বাংলাদেশে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আমাকে বলা হয়, ‘‘তুমি মরো, তুমি বাঁচো, আমরা ঠিক করব।’
 
আরেক বন্দীকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাঠিয়ে সেখানে ভারতীয় মুসলমানদের বিষয়ে ভিডিও কনটেন্ট তৈরির অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাঁকে ফিরিয়ে এনে র‍্যাবের হেফাজতে রাখা হয়।
 
গুম ও নির্যাতনের শিকার এসব ব্যক্তির নিরাপত্তার স্বার্থে নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি কমিশন।
 
কমিশন আরও জানিয়েছে, এসব কর্মকাণ্ডে বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে মৌখিক সমঝোতা থাকলেও কোনো লিখিত চুক্তি বা আইনি কাঠামো নেই। ফলে এসব বন্দীর পরিবার আইনি প্রতিকার তো দূরের কথা, খোঁজখবরও পায় না।
 
কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ধরনের সমন্বয় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এতে ব্যক্তির স্বাধীনতা, আইনি নিরাপত্তা ও বিচারপ্রাপ্তির অধিকার ভূলুণ্ঠিত হয়।
 
১৯ জুন রাজধানীর গুলশানে একটি সংবাদ সম্মেলনে গুমসংক্রান্ত কমিশনের সভাপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা গুমের সঙ্গে জড়িত থাকলেও তাদের বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই। কারণ সেটি আমাদের জুরিসডিকশনের বাইরে। তবে বাংলাদেশে যাদের সম্পৃক্ততা পাচ্ছি, তাদের বিষয়ে মামলা করার জন্য পুলিশকে চিঠি দিয়েছি। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও ৫-৬টি মামলার কার্যক্রম চলছে।’
 
মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এসব গুমের পেছনে শুধু দেশীয় নয়, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা অজুহাতও ব্যবহৃত হচ্ছে। অথচ কোনো সন্দেহভাজনকেও বিনা বিচারে দীর্ঘদিন অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখার অধিকার রাষ্ট্রের নেই।
 
প্রতিবেদনের সুপারিশে বলা হয়েছে, এই প্রক্রিয়াগুলোকে আইনের আওতায় আনতে হবে, গোপন হেফাজতে থাকা সব ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করতে হবে এবং যৌথ গোয়েন্দা কার্যক্রমের জন্য একটি স্বচ্ছ ও জনসম্মুখ চুক্তি করতে হবে।
 
কিছু কিছু গুমের ঘটনা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তি তদারকি করতেন বলেও জানিয়েছে কমিশন। মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া সাকা চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে গুমের ঘটনাটি শেখ হাসিনা জানতেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : স্টাফ রিপোর্টার-2

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
কুয়েটে সংঘর্ষ ও শিক্ষক লাঞ্ছনা ঘটনায় পাঁচ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, সতর্ক ৩২

কুয়েটে সংঘর্ষ ও শিক্ষক লাঞ্ছনা ঘটনায় পাঁচ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, সতর্ক ৩২