ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশের মোট ভূমির ৫৯ দশমিক ৭ শতাংশ কৃষি জমি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তিনি বলেন, সীমিত পরিমাণ জমি এবং এর উচ্চমূল্যের কারণে ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা জরুরি।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রস্তাবিত 'ভূমি জোনিং ও কৃষি জমি সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫'-এর চূড়ান্ত খসড়া প্রণয়নের জন্য গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় ওয়ার্কিং কমিটির সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। তার দেওয়া তথ্যমতে, দেশে ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ বনভূমি এবং ২০ শতাংশ জলাভূমি রয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে খাদ্য নিরাপত্তা রক্ষায় ভূমি জোনিং ও কৃষি জমি সুরক্ষা আইনকে তিনি অত্যাবশ্যক বলে উল্লেখ করেন।
সিনিয়র সচিব বলেন, এই আইন বাস্তবায়িত হলে অঞ্চলভেদে উপযুক্ত ভূমি ব্যবহারের পরিকল্পনা করা যাবে, যা পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব কমাবে এবং কৃষি জমি সংরক্ষণে সহায়ক হবে। এতে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
প্রস্তাবিত আইনে স্পষ্ট করা হয়েছে, অনুমোদন ছাড়া রিয়েল এস্টেট কোম্পানি, হাউজিং সোসাইটি, শিল্প মালিক, ব্যবসায়ী, পুঁজিপতি, এনজিও বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান কৃষি জমি বাণিজ্যিক বা বিনোদনমূলক কাজে ব্যবহার করলে বা নির্ধারিত সীমার বাইরে দখল করলে তাদের বিরুদ্ধে জেল ও জরিমানার ব্যবস্থা থাকবে। এসব অপরাধ মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর অধীনে বিচারযোগ্য হবে। সচিব জানান, আইনটি শিগগিরই চূড়ান্ত করা হবে।
সভায় কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ানসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। পরে রাজধানীর কাটাবনে ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৪৩ ও ৪৪তম বেসিক ভূমি ব্যবস্থাপনা কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে নবনিযুক্ত সহকারী কমিশনারদের হাতে সনদ তুলে দেন সিনিয়র সচিব। এ সময় ভূমি সংস্কার বোর্ড ও ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।