বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে ফেনী সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আগামী ১৭ আগস্ট থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি শুরু হবে। গত বছর ৫০ লাখ পরিবারকে পাঁচ মাসের জন্য প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হলেও এবার তা বাড়িয়ে ৫৫ লাখ পরিবারকে ছয় মাস চাল দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগস্ট থেকে নভেম্বর এবং ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে এই সহায়তা দেওয়া হবে। তবে ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে আমন ধান ওঠার কারণে বিতরণ স্থগিত থাকবে। ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান তিনি।
বর্তমানে সরকারি গুদামে ২২ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত রয়েছে, যার মধ্যে ২০ লাখ মেট্রিক টনের বেশি চাল। উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, আমন মৌসুম ভালো হলে আমদানি নির্ভরতা কমবে।
ভূমি সেবায় প্রযুক্তির উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে নামজারি ও খতিয়ান ডিজিটালভাবে করা যাচ্ছে। যদিও কিছু ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত ত্রুটি দেখা দেয়, তবে তা বড় সমস্যা নয় এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই সেবা আরও উন্নত হবে। প্রযুক্তিনির্ভর ভূমি জরিপ, খতিয়ান ও খাজনা প্রক্রিয়া সমাজে বিরোধ কমাতে সহায়ক হবে এবং জনসচেতনতা বাড়াবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসন কার্যক্রম নিয়েও তিনি কথা বলেন। ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত এবং কৃষকদের সহায়তা কার্যক্রম চলমান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, হতদরিদ্র পরিবারগুলো খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় আসবে।
এ সময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. এমদাদুল হক চৌধুরী, ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।