বিভাগের প্রণীত একটি বিলে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানাতে পারেন প্রেসিডেন্ট। কংগ্রেসে গৃহীত আইন চূড়ান্ত পাশের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষর যেখানে প্রয়োজন। ভেটো শক্তি বলে প্রেসিডেন্ট স্বাক্ষর না করলে সেই বিল কংগ্রেসে সংখ্যাধিক্যের ভোটে গৃহীত হয়ে যাবে।
কংগ্রেসের পাসকৃত আইন জুডিশিয়াল রিভিউ ক্ষমতা বলে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে আটকে দিতে পারেন সুপ্রিম কোর্ট। আবার কংগ্রেস সংবিধানে সংশোধনী এনে অকার্যকর করতে পারে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ। সুপ্রিম কোর্ট অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে বাতিল করতে পারে প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশ। অথচ এই প্রেসিডেন্টই নিয়োগ দেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের। আর এভাবেই সরকারে বজায় রাখা হয় ভারসাম্যতা। চেক্স অ্যান্ড ব্যালেন্সের প্রক্রিয়াকে প্রতীকী তুলনা করা হয় কাগজ, কাঁচি এবং পাথরের সাথে। এক্ষেত্রে আইন বিভাগকে কাগজ, নির্বাহী বিভাগকে কাঁচি এবং বিচার বিভাগকে তুলনা করা হয় পাথরের সাথে। যেমন আইন বিভাগের একটি বিলের কাগজে কাঁচি চালাতে পারেন প্রেসিডেন্ট। আবার সেই কাঁচিকে পাথর মেরে গুড়িয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে কোর্ট। পক্ষান্তরে আইন বিভাগের কাগজ ক্ষমতা বলে ঢেকে দিতে পারে গোটা পাথরকে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ভারসাম্যহীনতার কারণে দেশে দেশে সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানগণ হয়ে উঠেন স্বেচ্ছাচারী। ফলে রাষ্ট্রে কায়েম হয় এক নায়কতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদ। এক ব্যক্তিই নিয়ন্ত্রণ করেন সবকিছু। আইনের শাসন, গণতন্ত্র ও সামাজিক ন্যায়বিচার বঞ্চিত হয় দেশের মানুষ। রাজনৈতিক কারণে সুপ্রিম কোর্টের অভ্যন্তরে ভারসাম্যহীনতা কাজ করলে তা গোটা জাতির জীবনে টানতে পাওে দীর্ঘমেয়াদী বিভক্তি রেখা।