ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
চট্টগ্রামে চলন্ত অটোরিকশায় মুখোশধারীদের পেট্রলবোমা হামলা, দগ্ধ ২ নারী হাতিরঝিলে দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত যুবদলকর্মী, অবস্থা আশংকাজনক ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ডা. সুমিত সাহা গ্রেফতার রবার্ট এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ হাজার নথি প্রকাশ এপ্রিলের রাতের আকাশে দুর্লভ জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক চমক কিশোরগঞ্জে ভেজাল খাদ্য তৈরির দায়ে ৪ প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা মুন্সীগঞ্জে পুকুর থেকে ৩২৬ রাউন্ড চায়না রাইফেলের গুলি উদ্ধার গণ-অভ্যুত্থানের পর সমঝোতার সংস্কার দরকার: এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ভিসির প্রতীকী চেয়ারে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ কুয়েট শিক্ষার্থীদের আবাসিকে গ্যাস সংযোগ নিয়ে প্রতারণা: সতর্ক করলো তিতাস গ্যাস

ট্রাম্পের জয় এবং

বিভাগের প্রণীত একটি বিলে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানাতে পারেন প্রেসিডেন্ট। কংগ্রেসে গৃহীত আইন চূড়ান্ত পাশের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষর যেখানে প্রয়োজন। ভেটো শক্তি বলে প্রেসিডেন্ট স্বাক্ষর না করলে সেই বিল কংগ্রেসে সংখ্যাধিক্যের ভোটে গৃহীত হয়ে যাবে।

 

কংগ্রেসের পাসকৃত আইন জুডিশিয়াল রিভিউ ক্ষমতা বলে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে আটকে দিতে পারেন সুপ্রিম কোর্ট। আবার কংগ্রেস সংবিধানে সংশোধনী এনে অকার্যকর করতে পারে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ। সুপ্রিম কোর্ট অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে বাতিল করতে পারে প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশ। অথচ এই প্রেসিডেন্টই নিয়োগ দেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের। আর এভাবেই সরকারে বজায় রাখা হয় ভারসাম্যতা। চেক্স অ্যান্ড ব্যালেন্সের প্রক্রিয়াকে প্রতীকী তুলনা করা হয় কাগজ, কাঁচি এবং পাথরের সাথে। এক্ষেত্রে আইন বিভাগকে কাগজ, নির্বাহী বিভাগকে কাঁচি এবং বিচার বিভাগকে তুলনা করা হয় পাথরের সাথে। যেমন আইন বিভাগের একটি বিলের কাগজে কাঁচি চালাতে পারেন প্রেসিডেন্ট। আবার সেই কাঁচিকে পাথর মেরে গুড়িয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে কোর্ট। পক্ষান্তরে আইন বিভাগের কাগজ ক্ষমতা বলে ঢেকে দিতে পারে গোটা পাথরকে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ভারসাম্যহীনতার কারণে দেশে দেশে সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানগণ হয়ে উঠেন স্বেচ্ছাচারী। ফলে রাষ্ট্রে কায়েম হয় এক নায়কতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদ। এক ব্যক্তিই নিয়ন্ত্রণ করেন সবকিছু। আইনের শাসন, গণতন্ত্র ও সামাজিক ন্যায়বিচার বঞ্চিত হয় দেশের মানুষ। রাজনৈতিক কারণে সুপ্রিম কোর্টের অভ্যন্তরে ভারসাম্যহীনতা কাজ করলে তা গোটা জাতির জীবনে টানতে পাওে দীর্ঘমেয়াদী বিভক্তি রেখা।

জনপ্রিয়

চট্টগ্রামে চলন্ত অটোরিকশায় মুখোশধারীদের পেট্রলবোমা হামলা, দগ্ধ ২ নারী

ট্রাম্পের জয় এবং

প্রকাশিত: ১১:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪

বিভাগের প্রণীত একটি বিলে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানাতে পারেন প্রেসিডেন্ট। কংগ্রেসে গৃহীত আইন চূড়ান্ত পাশের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষর যেখানে প্রয়োজন। ভেটো শক্তি বলে প্রেসিডেন্ট স্বাক্ষর না করলে সেই বিল কংগ্রেসে সংখ্যাধিক্যের ভোটে গৃহীত হয়ে যাবে।

 

কংগ্রেসের পাসকৃত আইন জুডিশিয়াল রিভিউ ক্ষমতা বলে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে আটকে দিতে পারেন সুপ্রিম কোর্ট। আবার কংগ্রেস সংবিধানে সংশোধনী এনে অকার্যকর করতে পারে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ। সুপ্রিম কোর্ট অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে বাতিল করতে পারে প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশ। অথচ এই প্রেসিডেন্টই নিয়োগ দেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের। আর এভাবেই সরকারে বজায় রাখা হয় ভারসাম্যতা। চেক্স অ্যান্ড ব্যালেন্সের প্রক্রিয়াকে প্রতীকী তুলনা করা হয় কাগজ, কাঁচি এবং পাথরের সাথে। এক্ষেত্রে আইন বিভাগকে কাগজ, নির্বাহী বিভাগকে কাঁচি এবং বিচার বিভাগকে তুলনা করা হয় পাথরের সাথে। যেমন আইন বিভাগের একটি বিলের কাগজে কাঁচি চালাতে পারেন প্রেসিডেন্ট। আবার সেই কাঁচিকে পাথর মেরে গুড়িয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে কোর্ট। পক্ষান্তরে আইন বিভাগের কাগজ ক্ষমতা বলে ঢেকে দিতে পারে গোটা পাথরকে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ভারসাম্যহীনতার কারণে দেশে দেশে সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানগণ হয়ে উঠেন স্বেচ্ছাচারী। ফলে রাষ্ট্রে কায়েম হয় এক নায়কতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদ। এক ব্যক্তিই নিয়ন্ত্রণ করেন সবকিছু। আইনের শাসন, গণতন্ত্র ও সামাজিক ন্যায়বিচার বঞ্চিত হয় দেশের মানুষ। রাজনৈতিক কারণে সুপ্রিম কোর্টের অভ্যন্তরে ভারসাম্যহীনতা কাজ করলে তা গোটা জাতির জীবনে টানতে পাওে দীর্ঘমেয়াদী বিভক্তি রেখা।