ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
চট্টগ্রামে চলন্ত অটোরিকশায় মুখোশধারীদের পেট্রলবোমা হামলা, দগ্ধ ২ নারী হাতিরঝিলে দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত যুবদলকর্মী, অবস্থা আশংকাজনক ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ডা. সুমিত সাহা গ্রেফতার রবার্ট এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ হাজার নথি প্রকাশ এপ্রিলের রাতের আকাশে দুর্লভ জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক চমক কিশোরগঞ্জে ভেজাল খাদ্য তৈরির দায়ে ৪ প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা মুন্সীগঞ্জে পুকুর থেকে ৩২৬ রাউন্ড চায়না রাইফেলের গুলি উদ্ধার গণ-অভ্যুত্থানের পর সমঝোতার সংস্কার দরকার: এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ভিসির প্রতীকী চেয়ারে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ কুয়েট শিক্ষার্থীদের আবাসিকে গ্যাস সংযোগ নিয়ে প্রতারণা: সতর্ক করলো তিতাস গ্যাস

ট্রাইব্যুনালের অনুমতি ছাড়া তল্লাশি ও আলামত জব্দের ক্ষমতা পেলেনঃ তদন্ত কর্মকর্তা

সাক্ষ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের স্বাধীনতা এবং তল্লাশি ও আলামত জব্দের ক্ষেত্রে তদন্তকারী কর্মকর্তার ক্ষমতা বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ আকারে জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ২০ নভেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে এই অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন করা হয়। জাতীয় সংসদ চলমান না থাকায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এই অধ্যাদেশ জারি করেন। এর বিজ্ঞপ্তি গত সোমবার প্রকাশ করেছে লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ।

এই সংশোধনী ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনাল) (অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স ২০২৫’ নামে জারি করা হয়েছে। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যার বিচারের প্রক্রিয়ার মধ্যে এই আইন সংশোধন করা হয়েছে।

আইনের ৪, ৮, ৯, ১১, ১২ ও ১৯ নম্বর ধারা সংশোধন করা হয়েছে। আগের আইন অনুযায়ী, তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রয়োজন মনে করলে ট্রাইব্যুনালের অনুমতি নিয়ে তল্লাশি ও আলামত জব্দ করতে পারতেন। সংশোধনীর মাধ্যমে এক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের অনুমতি নেওয়ার বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া হয়েছে।

আগের আইনে বিচার শুরুর ৬ সপ্তাহ আগে সাক্ষীর তালিকা ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপনের বিধান ছিল। সংশোধন করে এটিকে তিন সপ্তাহ করা হয়েছে।

আইনের ১১ নম্বর ধারায় একটি নতুন উপধারা যোগ করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, ট্রাইব্যুনাল আসামির সম্পদ অবরুদ্ধ বা জব্দের আদেশ দিতে পারবেন এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য সেসব সম্পদ ক্ষতিপূরণ হিসেবে বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন।

আগের আইন অনুযায়ী ট্রাইব্যুনালের মামলার প্রতিবেদনসহ নথিকে গোপনীয় রাখা হয়েছিল। সংশোধনীর মাধ্যমে নথির সঙ্গে অভিযোগকেও গোপনীয় করা হয়েছে।

১৯ নম্বর ধারায় একটি নতুন উপধারা যোগ করে বলা হয়েছে, আইনে যা কিছু থাকুক না কেন, ট্রাইব্যুনাল সাক্ষ্যের কারিগরি নিয়ম দ্বারা আবদ্ধ থাকবেন না এবং দ্রুত ও অ-কারিগরি পদ্ধতি গ্রহণ এবং প্রয়োগ করতে পারবেন।

এই সংশোধনীর মাধ্যমে ট্রাইব্যুনালের স্বাধীনতা ও তদন্তকারী কর্মকর্তার ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জনপ্রিয়

চট্টগ্রামে চলন্ত অটোরিকশায় মুখোশধারীদের পেট্রলবোমা হামলা, দগ্ধ ২ নারী

ট্রাইব্যুনালের অনুমতি ছাড়া তল্লাশি ও আলামত জব্দের ক্ষমতা পেলেনঃ তদন্ত কর্মকর্তা

প্রকাশিত: ১১:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সাক্ষ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের স্বাধীনতা এবং তল্লাশি ও আলামত জব্দের ক্ষেত্রে তদন্তকারী কর্মকর্তার ক্ষমতা বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ আকারে জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ২০ নভেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে এই অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন করা হয়। জাতীয় সংসদ চলমান না থাকায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এই অধ্যাদেশ জারি করেন। এর বিজ্ঞপ্তি গত সোমবার প্রকাশ করেছে লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ।

এই সংশোধনী ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনাল) (অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স ২০২৫’ নামে জারি করা হয়েছে। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যার বিচারের প্রক্রিয়ার মধ্যে এই আইন সংশোধন করা হয়েছে।

আইনের ৪, ৮, ৯, ১১, ১২ ও ১৯ নম্বর ধারা সংশোধন করা হয়েছে। আগের আইন অনুযায়ী, তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রয়োজন মনে করলে ট্রাইব্যুনালের অনুমতি নিয়ে তল্লাশি ও আলামত জব্দ করতে পারতেন। সংশোধনীর মাধ্যমে এক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের অনুমতি নেওয়ার বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া হয়েছে।

আগের আইনে বিচার শুরুর ৬ সপ্তাহ আগে সাক্ষীর তালিকা ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপনের বিধান ছিল। সংশোধন করে এটিকে তিন সপ্তাহ করা হয়েছে।

আইনের ১১ নম্বর ধারায় একটি নতুন উপধারা যোগ করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, ট্রাইব্যুনাল আসামির সম্পদ অবরুদ্ধ বা জব্দের আদেশ দিতে পারবেন এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য সেসব সম্পদ ক্ষতিপূরণ হিসেবে বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন।

আগের আইন অনুযায়ী ট্রাইব্যুনালের মামলার প্রতিবেদনসহ নথিকে গোপনীয় রাখা হয়েছিল। সংশোধনীর মাধ্যমে নথির সঙ্গে অভিযোগকেও গোপনীয় করা হয়েছে।

১৯ নম্বর ধারায় একটি নতুন উপধারা যোগ করে বলা হয়েছে, আইনে যা কিছু থাকুক না কেন, ট্রাইব্যুনাল সাক্ষ্যের কারিগরি নিয়ম দ্বারা আবদ্ধ থাকবেন না এবং দ্রুত ও অ-কারিগরি পদ্ধতি গ্রহণ এবং প্রয়োগ করতে পারবেন।

এই সংশোধনীর মাধ্যমে ট্রাইব্যুনালের স্বাধীনতা ও তদন্তকারী কর্মকর্তার ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে।