চাকরি দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাসে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) সহকারী পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মানিকুজ্জামান মানিককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাতে রাজশাহী নগরের মালোপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
ভুক্তভোগী তামান্না ইয়াসমিন দাবি করেছেন, ২০২২ সালে রুয়েটে চাকরি দেওয়ার আশ্বাসে মানিক ও তার বড় ভাই মুনরুজ্জামান মুন তাঁর কাছ থেকে মোট ৫ লাখ টাকা নেন, কিন্তু চাকরি বা টাকা—কিছুই ফেরত দেননি।
একই মামলায় আসামি মানিকের ভাই মুন, যিনি একজন হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী। তাকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
মানিক ও মুনের বিরুদ্ধে শুধু একটি নয়, বরং একাধিক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে মোট প্রায় ১৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে মাহাবুবুর রহমান সঞ্জু, শাহি, নওবাহার খাতুন, আশরাফ উজ জামান ও মামুনুর রশিদ—সহ ভুক্তভোগীরা ১৬ মার্চ সংবাদ সম্মেলন করেন।
গ্রেফতারের পর আরও দুইজন অভিযোগ করেছেন।ভুক্তভোগী সালমা কবির জানান, তার কাছ থেকে ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেওয়া হয়।অপরদিকে, জেসমিন আরা জানান, তাঁর স্বামীর চাকরির আশ্বাসে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেওয়া হয়।
বোয়ালিয়া থানার ওসি মোস্তাক হাসান জানিয়েছেন, “মানিককে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হয়েছে এবং মামলার অন্য আসামিকে ধরতে অভিযান চলছে। নতুন যেসব অভিযোগ আসছে, সেগুলোর তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”