২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সোমবার (২ জুন) ঘোষণা করবেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। এ বাজেটে রাজস্ব আদায় ও দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় বেশ কিছু পণ্যের ওপর কর, শুল্ক ও ভ্যাট আরোপের পরিকল্পনা রয়েছে, যার ফলে বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়তে পারে।
অর্থনীতি বিশ্লেষকদের মতে, উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময় নতুন করে শুল্ক আরোপ সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বাড়িয়ে তুলবে।
যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে:
সিগারেট: সিগারেট পেপারে সম্পূরক শুল্ক ১৫০% থেকে বাড়িয়ে ৩০০% করার প্রস্তাব।
দেশীয় মোবাইল ফোন: উৎপাদনে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশে ২ থেকে আড়াই শতাংশ পর্যন্ত ভ্যাট বাড়ানো হচ্ছে।
কসমেটিকস: লিপস্টিক, মেকআপ সামগ্রী আমদানির ন্যূনতম মূল্য দ্বিগুণ হওয়ায় দাম বাড়তে পারে।
অটোরিকশার ব্যাটারি: ডিসি মোটরে শুল্ক ১% থেকে বাড়িয়ে ১৫% করা হচ্ছে।
সুতা: প্রতি কেজিতে সুনির্দিষ্ট কর ৩ টাকা থেকে ৫ টাকা করা হচ্ছে।
রড ও নির্মাণসামগ্রী: স্ক্র্যাপ, বিলেট ও রাসায়নিক উপাদানে কর বৃদ্ধির প্রস্তাব।
ফ্রিজ ও এসি: ভ্যাট অব্যাহতি প্রত্যাহার করে দাম বাড়ানোর উদ্যোগ।
ব্লেড: উৎপাদনে ভ্যাট ৫% থেকে ৭% করা হচ্ছে।
বাস-ট্রাক: বডি নির্মাণে ৫% ভ্যাট আরোপ।
টেবিলওয়্যার: ভ্যাট ৭.৫% থেকে বাড়িয়ে ১৫%।
হেলিকপ্টার: আমদানিতে ১০% শুল্ক।
বিদেশি চকোলেট: শুল্কায়নের ন্যূনতম মূল্য ৪ ডলার থেকে ১০ ডলার করা হচ্ছে।
খেলনা: বিদেশি খেলনার ট্যারিফ মূল্য বাড়ানো হচ্ছে।
মার্বেল-গ্রানাইট: সম্পূরক শুল্ক ২০% থেকে ৪৫%।
অন্যান্য পণ্য: মাখন, তারকাঁটা, স্ক্রু, নাট-বোল্ট, ইলেকট্রিক ফিটিংস, কপি পেপার, প্লাস্টিকের ওয়ানটাইম সামগ্রী, তামাক বীজ, বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশ, গর্ভবতী নারীদের ফুড সাপ্লিমেন্ট, বেভারেজ, দরজার তালা ইত্যাদির দামও বাড়তে পারে।