ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আজ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে গৃহীত কিছু পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে এবং সরকারি ব্যয়ে কঠোরতা বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছে।
ডিসিসিআই সভাপতি তাসকিন আহমেদ তাৎক্ষণিক বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমরা কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ দেখেছি যেমন মুল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, ন্যূনতম করের সমন্বয়, অটোমেটেড রিটার্ন সিস্টেম চালু, বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনুমোদনযোগ্য বিয়োজনের আওতা বৃদ্ধি, করজাল সম্প্রসারণ, এলএনজি আমদানিতে ভ্যাট মওকুফ।’
তিনি বলেন, তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য ১০০ কোটি টাকার তহবিল একটি ভালো পদক্ষেপ।
করমুক্ত আয়ের সীমা সম্পর্কে তিনি বলেন, এই বছর ব্যক্তির জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা প্রায় অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে এবং এই পদক্ষেপ করদাতাদের উপর বিশেষ করে মধ্যবিত্ত বিশেষ করে চাকরিজীবীদের উপর পরবর্তী বছর থেকে অতিরিক্ত করের বোঝা তৈরি করবে।
তিনি আরো বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহারে খরচ কমলেও স্থানীয়ভাবে মোবাইল ফোন উৎপাদনে ভ্যাট বাড়ানোর কারণে এ শিল্পের বিকাশ ব্যাহত হবে।
তিনি বলেন, রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্য অর্জন সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে।
বাজেট ঘাটতি কমাতে স্থানীয় ব্যাংকগুলোর উপর সরকারের নির্ভরতা বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহকে সংকুচিত করবে উল্লেখ করে ব্যাংক খাত থেকে ঋণ গ্রহণের খরচ ব্যবসায়ীদের জন্য ৬ থেকে ৭ শতাংশের মধ্যে রাখতে উদ্যোগ গ্রহণে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি এডিপির মানসম্মত বাস্তবায়নের উপরও জোর দেন।