ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন হামজা চৌধুরীর আগমনে জোয়ার বাংলাদেশ ফুটবলে, ভুটানের বিপক্ষে আজ প্রস্তুতি ম্যাচ রিলসের নামে অশ্লীলতার প্রতিযোগিতা: ভিউয়ের পেছনে দৌড়ে সমাজ হারাচ্ছে মূল্যবোধ আজ মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা ভাঙ্গায় মাহিন্দ্রা-বাস সংঘর্ষে ৪ জন নিহত, আহত ৩ মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ মাংস বিক্রেতাদের সরাসরি গুলি করার হুমকি দিয়েছেন ভারতের গাজিয়াবাদ বিধায়ক গুর্জ ইসরাইলের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন ও ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিল করেছে স্পেন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি: এনবিআর চেয়ারম্যান খাবার আনতে যাওয়া ২৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরাইল

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির শঙ্কা

ব্রহ্মপুত্র ও যমুনাসহ দেশের আটটি নদীর পানি বাড়ার কারণে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আবারও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)

 

মঙ্গলবার (৩ জুন) পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া একটি বন্যার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি আগামী ৪৮ ঘণ্টা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। সারিগোয়াইন, যাদুকাটা নদীর পানিও বৃদ্ধি পেতে পারে এবং বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার মনু, খোয়াই, সোমেশ্বরী, ধলাই নদীসমূহের পানি হ্রাস পেতে পারে। এই সময়ে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার প্রধান নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী দুই দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। তবে বিপৎসীমার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। তৃতীয় দিন নদ-নদীসমূহের পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং চতুর্থ ও পঞ্চম দিন হ্রাস পেতে পারে। রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি আগামী ২৪ ঘণ্টায় হ্রাস পেতে পারে। তবে পরবর্তী দুই দিন বৃদ্ধি পেতে পারে এবং তিস্তা নদী সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে।

 

এই প্রকৌশলী বলেন, আগামী তিন দিন চট্টগ্রাম বিভাগের মুহুরী, ফেনী, হালদা, সাঙ্গু, মাতামুহুরী ইত্যাদি নদীসমূহের পানি হ্রাস পেতে পারে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। গঙ্গা নদীর পানি স্থিতিশীল আছে।

 

অপরদিকে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী পাঁচ দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। তবে নদীসমূহ বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

জনপ্রিয়

আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির শঙ্কা

প্রকাশিত: ১০:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

ব্রহ্মপুত্র ও যমুনাসহ দেশের আটটি নদীর পানি বাড়ার কারণে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আবারও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)

 

মঙ্গলবার (৩ জুন) পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া একটি বন্যার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি আগামী ৪৮ ঘণ্টা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। সারিগোয়াইন, যাদুকাটা নদীর পানিও বৃদ্ধি পেতে পারে এবং বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার মনু, খোয়াই, সোমেশ্বরী, ধলাই নদীসমূহের পানি হ্রাস পেতে পারে। এই সময়ে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার প্রধান নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী দুই দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। তবে বিপৎসীমার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। তৃতীয় দিন নদ-নদীসমূহের পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং চতুর্থ ও পঞ্চম দিন হ্রাস পেতে পারে। রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি আগামী ২৪ ঘণ্টায় হ্রাস পেতে পারে। তবে পরবর্তী দুই দিন বৃদ্ধি পেতে পারে এবং তিস্তা নদী সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে।

 

এই প্রকৌশলী বলেন, আগামী তিন দিন চট্টগ্রাম বিভাগের মুহুরী, ফেনী, হালদা, সাঙ্গু, মাতামুহুরী ইত্যাদি নদীসমূহের পানি হ্রাস পেতে পারে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। গঙ্গা নদীর পানি স্থিতিশীল আছে।

 

অপরদিকে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী পাঁচ দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। তবে নদীসমূহ বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।