বাংলাদেশ ফুটবলের আকাশে নতুন সূর্যোদয়। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরীর যোগদানে লাল-সবুজ শিবিরে লেগেছে উত্তেজনার হাওয়া। ইতোমধ্যে দেশের মাটিতে অনুশীলনও শুরু করেছেন এই তারকা। তার সঙ্গে আছেন ইতালি প্রবাসী ফাহামেদুল ইসলাম এবং কানাডা প্রবাসী শমিত সোম। শমিত আজ ভোরে দলে যোগ দিলেও, আজকের ভুটান ম্যাচে তাকে দেখা যাবে না।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ভুটানের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। এটি ১০ জুন এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগমুহূর্তের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ।
এখন পর্যন্ত ১৬ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। বাংলাদেশের জয় ১২টি, হার দুটি এবং ড্র দুটি। ২০১৬ সালের হারের তিক্ততা এখনো ভুলে যায়নি লাল-সবুজ। গত বছর সেপ্টেম্বরে এক জয় ও এক হারের সিরিজ খেলেছে দুই দল।
ভুটান কোচ আসুসি নাকামুরা ও অধিনায়ক চেনচো গেইলশেন সংবাদ সম্মেলনে বারবারই বললেন হামজার প্রভাব নিয়ে।
নাকামুরার কথায়, “এক হামজাতেই বদলে গেছে বাংলাদেশ। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা একজন ফুটবলার থাকাটা দারুণ ব্যাপার।”
চেনচোর সুরেও একই প্রশংসা, “হামজা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।”
দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া জানালেন, এখন দলে আছেন মোট ছয়জন প্রবাসী ফুটবলার। ২০১৩ সালে ডেনমার্ক থেকে বাংলাদেশ দলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। আজকের সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের ভিড় দেখে আপ্লুত জামাল বলেন,
“এই প্রথম আমার ক্যারিয়ারে এত সাংবাদিক দেখলাম। অনেকে মাটিতে বসে ছিল, সেটা দেখে কষ্ট পেয়েছি।”
প্রবাসীদের গুরুত্ব তুলে ধরে জামাল বলেন, “বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের অধিকাংশ খেলোয়াড়ই প্রবাসী। প্রবাসীরা এলে দেশি খেলোয়াড়রাও ভালো খেলবে।”
বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ হাভিয়ের কাবরেরা বলেন, “আমরা এখন পর্যন্ত চারটি অনুশীলন সেশন করেছি, তার মধ্যে হামজা অংশ নিয়েছে দুইটিতে। আমার বিশ্বাস, আজকের ম্যাচে দর্শকরা অন্তত কিছু সময়ের জন্য হামজাকে মাঠে দেখতে পাবেন।”
বাংলাদেশ ফুটবলের সামনে এক নতুন সকাল। হামজার মতো আন্তর্জাতিক মানের ফুটবলারের আগমনে শুধু মাঠেই নয়, পুরো ফুটবল সংস্কৃতিতেই পরিবর্তনের আভাস মিলছে। এখন দেখার অপেক্ষা—এই তারকার আলোয় কতটা উজ্জ্বল হয় লাল-সবুজের ভবিষ্যৎ।