ঢাকা , রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বীর মুক্তিযোদ্ধার নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণে জামুকা আইনের সংশোধিত অধ্যাদেশ জারি

সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইনের সংশোধিত অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। মঙ্গলবার (৩ জুন) রাতে এটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।

 

সংশোধিত অধ্যাদেশ অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরে যুদ্ধের প্রস্তুতি, প্রশিক্ষণ, কিংবা ভারতে গিয়ে প্রশিক্ষণ শেষে সরাসরি পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এদেশীয় সহযোগীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেওয়া বেসামরিক নাগরিক এবং সশস্ত্র বাহিনী, ইপিআর, পুলিশ, মুক্তিবাহিনী, মুজিবনগর সরকারের স্বীকৃত বাহিনী, নৌ কমান্ডো, কিলো ফোর্স ও আনসার সদস্যরা ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে গণ্য হবেন।

 

মুজিবনগর সরকার, বীরাঙ্গনা, আহতদের চিকিৎসাসেবা দেয়া ডাক্তার, নার্স ও চিকিৎসা সহকারীরাও এই স্বীকৃতি পাবেন।

 

অন্যদিকে, যারা মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ না নিয়েও প্রবাসে বা দেশে থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছেন, জনমত গঠনে কাজ করেছেন, কূটনৈতিক সমর্থন আদায়ে ভূমিকা রেখেছেন, তাদের ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। এর আওতায় পড়বেন প্রবাসী মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারী, ডাক্তার, নার্স, সহকারী, এমএনএ/এমপিএ, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী-কলাকুশলী, সাংবাদিক এবং স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যরা।

 

সংশোধিত আইনে ‘সহযোগী’দের পরিচয় ও দায়িত্ব নির্ধারণ করে পৃথক শ্রেণিতে স্থান দেয়া হয়েছে।

জনপ্রিয়

বীর মুক্তিযোদ্ধার নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণে জামুকা আইনের সংশোধিত অধ্যাদেশ জারি

প্রকাশিত: ০২:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইনের সংশোধিত অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। মঙ্গলবার (৩ জুন) রাতে এটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।

 

সংশোধিত অধ্যাদেশ অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরে যুদ্ধের প্রস্তুতি, প্রশিক্ষণ, কিংবা ভারতে গিয়ে প্রশিক্ষণ শেষে সরাসরি পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এদেশীয় সহযোগীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেওয়া বেসামরিক নাগরিক এবং সশস্ত্র বাহিনী, ইপিআর, পুলিশ, মুক্তিবাহিনী, মুজিবনগর সরকারের স্বীকৃত বাহিনী, নৌ কমান্ডো, কিলো ফোর্স ও আনসার সদস্যরা ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে গণ্য হবেন।

 

মুজিবনগর সরকার, বীরাঙ্গনা, আহতদের চিকিৎসাসেবা দেয়া ডাক্তার, নার্স ও চিকিৎসা সহকারীরাও এই স্বীকৃতি পাবেন।

 

অন্যদিকে, যারা মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ না নিয়েও প্রবাসে বা দেশে থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছেন, জনমত গঠনে কাজ করেছেন, কূটনৈতিক সমর্থন আদায়ে ভূমিকা রেখেছেন, তাদের ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। এর আওতায় পড়বেন প্রবাসী মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারী, ডাক্তার, নার্স, সহকারী, এমএনএ/এমপিএ, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী-কলাকুশলী, সাংবাদিক এবং স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যরা।

 

সংশোধিত আইনে ‘সহযোগী’দের পরিচয় ও দায়িত্ব নির্ধারণ করে পৃথক শ্রেণিতে স্থান দেয়া হয়েছে।