মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে উগ্র হিন্দুত্ববাদী মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ভারতের মুসলিমদের বৃহৎ অরাজনৈতিক সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ।
মঙ্গলবার (৩ জুন) মুসলিম মিররের খবরে একথা জানানো হয়।
খবরে বলা হয়, ভারতের যেসব মাদরাসা গুড়িয়ে দিতে নোটিশ পাঠানো হয়েছে, সেসব মাদরাসাকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষায় সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ।
উত্তর প্রদেশের আজমগড়ে ‘তাহাফফুজে মাদারিস’ শীর্ষক কনফারেন্সে সংগঠনটির সভাপতি মাওলানা আরশাদ মাদানি একথা জানান।
কনফারেন্সে বক্তৃতাকালে মাওলানা আরশাদ মাদানি বলেন, “আমরা এখানে কোনও কিছু উদযাপন করতে আসিনি, বরং মাদরাসাগুলো যেসব সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে তা সমাধানের জন্য এসেছি।”
সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, আসাম ও উত্তর প্রদেশের পর সরকার ও প্রশাসন এখন পানিপথ এবং অন্যান্য অঞ্চলেও মাদরাসা গুড়িয়ে দেওয়ার নোটিশ পাঠানো শুরু করেছে! অথচ এই মাদরাসাগুলোই দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলো। কিন্তু আফসোস! কেউ কেউ দাবী করেন ও বিশ্বাস করেন যে, মাদরাসাগুলোতে সন্ত্রাসবাদ শেখানো হচ্ছে।
মাওলানা মাদানি এসময় ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে মাদরাসাগুলোর বিপ্লবী ভূমিকার কথা তুলে ধরেন এবং জোর দিয়ে বলেন যে, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দেশের মাদরাসাগুলোকে রক্ষায় ও সরকারের বৈষম্যমূলক আইনগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবেন।
সম্মেলনে অন্যান্য শীর্ষ উলামায়ে কেরাম ও ব্যক্তিত্বরাও অংশগ্রহণ করেন। তারা উগ্র হিন্দুত্ববাদী সরকার ও প্রশাসন কর্তৃক মাদরাসা ধ্বংসের ক্রমবর্ধমান অভিযানে হতাশা ও আপত্তি প্রকাশ করেন। একে চরম বৈষম্য এবং অসাংবিধানিক বলে অভিহিত করেন।
দেশটির মুসলিমদের বৃহৎ অরাজনৈতিক সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ বিষয়টি আদালতে তোলার প্রতিশ্রুতি দেয় এবং দ্রুতই এসব সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করে।