ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন হামজা চৌধুরীর আগমনে জোয়ার বাংলাদেশ ফুটবলে, ভুটানের বিপক্ষে আজ প্রস্তুতি ম্যাচ রিলসের নামে অশ্লীলতার প্রতিযোগিতা: ভিউয়ের পেছনে দৌড়ে সমাজ হারাচ্ছে মূল্যবোধ আজ মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা ভাঙ্গায় মাহিন্দ্রা-বাস সংঘর্ষে ৪ জন নিহত, আহত ৩ মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ মাংস বিক্রেতাদের সরাসরি গুলি করার হুমকি দিয়েছেন ভারতের গাজিয়াবাদ বিধায়ক গুর্জ ইসরাইলের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন ও ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিল করেছে স্পেন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি: এনবিআর চেয়ারম্যান খাবার আনতে যাওয়া ২৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরাইল

আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ১৫টি স্কুল নির্মাণ করেছে তালেবান সরকার

আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ১৫টি স্কুল নির্মাণ করেছে দেশটির ইমারাতে ইসলামিয়ার সরকার।

সোমবার (২ জুন) বাখতার নিউজের খবরে একথা জানানো হয়।

খবরে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির লক্ষ্যে পাকতিয়া প্রদেশের ১৪টি জেলায় ১৫টি নতুন স্কুল ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে তা হস্তান্তর করেছে আফগান শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এনএসআরডিও সংস্থার অর্থায়নে ১৯২ মিলিয়ন আফগানি ব্যয়ে স্কুল ভবনগুলো নির্মাণ করা হয়। এই উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে আফগান শিক্ষামন্ত্রী মাওলানা হাবিবুল্লাহ আগা সহ ইমারাত সরকারের বেশ কয়েকজন আঞ্চলিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে শিক্ষামন্ত্রী আফগানিস্তানের ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষার গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে বলেন, প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন নতুন স্থাপনাগুলো হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে একটি নিরাপদ এবং উপযুক্ত শিক্ষার পরিবেশ প্রদান করবে।

তিনি শিক্ষা খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ইমারাত সরকারের অব্যাহত প্রচেষ্টার প্রতিশ্রুতি দেন। শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর এবং ডক্টরেট ডিগ্রি সহ উচ্চশিক্ষা গ্রহণে উৎসাহিত করেন।

তিনি আরো বলেন, “বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতা করার জন্য, তাদের চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য ধর্মীয় ও আধুনিক উভয় জ্ঞানের সমন্বয়ে সজ্জিত কারিকুলামে শিক্ষিত হয়ে উঠা যুবকদের প্রয়োজন। আমি অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের উভয় ক্ষেত্রেই সহায়তা করার জন্য অনুরোধ করছি।”

পাকতিয়ার শিক্ষা পরিচালক মাওলানা আব্দুল ওয়াকিল খালিদের মতে, প্রতিটি নতুন ভবনে ছয়টি শ্রেণীকক্ষ এবং একটি প্রশাসনিক অফিস রয়েছে। মাত্র ৯ মাসে এসব ভবনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, আফগান সরকারের এই উদ্যোগকে প্রদেশের শিক্ষাগত অবকাঠামো উন্নয়নের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা দীর্ঘদিন ধরে অপর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার সাথে লড়াই করে আসছে।

জনপ্রিয়

আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন

আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ১৫টি স্কুল নির্মাণ করেছে তালেবান সরকার

প্রকাশিত: ০২:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ১৫টি স্কুল নির্মাণ করেছে দেশটির ইমারাতে ইসলামিয়ার সরকার।

সোমবার (২ জুন) বাখতার নিউজের খবরে একথা জানানো হয়।

খবরে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির লক্ষ্যে পাকতিয়া প্রদেশের ১৪টি জেলায় ১৫টি নতুন স্কুল ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে তা হস্তান্তর করেছে আফগান শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এনএসআরডিও সংস্থার অর্থায়নে ১৯২ মিলিয়ন আফগানি ব্যয়ে স্কুল ভবনগুলো নির্মাণ করা হয়। এই উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে আফগান শিক্ষামন্ত্রী মাওলানা হাবিবুল্লাহ আগা সহ ইমারাত সরকারের বেশ কয়েকজন আঞ্চলিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে শিক্ষামন্ত্রী আফগানিস্তানের ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষার গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে বলেন, প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন নতুন স্থাপনাগুলো হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে একটি নিরাপদ এবং উপযুক্ত শিক্ষার পরিবেশ প্রদান করবে।

তিনি শিক্ষা খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ইমারাত সরকারের অব্যাহত প্রচেষ্টার প্রতিশ্রুতি দেন। শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর এবং ডক্টরেট ডিগ্রি সহ উচ্চশিক্ষা গ্রহণে উৎসাহিত করেন।

তিনি আরো বলেন, “বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতা করার জন্য, তাদের চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য ধর্মীয় ও আধুনিক উভয় জ্ঞানের সমন্বয়ে সজ্জিত কারিকুলামে শিক্ষিত হয়ে উঠা যুবকদের প্রয়োজন। আমি অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের উভয় ক্ষেত্রেই সহায়তা করার জন্য অনুরোধ করছি।”

পাকতিয়ার শিক্ষা পরিচালক মাওলানা আব্দুল ওয়াকিল খালিদের মতে, প্রতিটি নতুন ভবনে ছয়টি শ্রেণীকক্ষ এবং একটি প্রশাসনিক অফিস রয়েছে। মাত্র ৯ মাসে এসব ভবনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, আফগান সরকারের এই উদ্যোগকে প্রদেশের শিক্ষাগত অবকাঠামো উন্নয়নের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা দীর্ঘদিন ধরে অপর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার সাথে লড়াই করে আসছে।