আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ফর্মুলা অনুযায়ী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। মঙ্গলবার (৩ জুন) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ মন্তব্য করে সংগঠনটি।
বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) বলেন, বাজেটে রাজস্ব আহরণকে প্রাধান্য দিয়ে করপোরেট ও ব্যক্তি খাতের ওপর অতিরিক্ত কর আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু করজাল বাড়ানোর সুস্পষ্ট উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। মূল্যস্ফীতি, কর্মসংস্থান ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরির যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তা বাস্তবায়ন কঠিন হবে।
তিনি বলেন, বড় শিল্পের কাঁচামালের ওপর ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে, যা পণ্য উৎপাদনের খরচ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতি আরও তীব্র করতে পারে। গার্মেন্টসসহ রফতানিমুখী শিল্পে নগদ প্রণোদনা কমিয়ে আনার ফলে রফতানিকারকরা প্রতিযোগিতা হারাতে পারে। কটন সুতা ও ম্যানমেইড ফাইবারে মূসক বাড়িয়ে ৩ টাকা থেকে ৫ টাকা করা হয়েছে, যা দেশীয় স্পিনিং মিলগুলোকে ক্ষতির মুখে ফেলবে। স্টিল ও সিমেন্ট শিল্পের কাঁচামালে কর ও মূসক বৃদ্ধিও নির্মাণ খাতে ব্যয় বাড়াবে।
এসএমই খাত নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে বিসিআই জানায়, টার্নওভার কর ০.৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১ শতাংশ করায় ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। ই-কমার্সে ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ করায় নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ঝুঁকি বাড়বে বলে সংস্থাটির মন্তব্য।
তবে তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য ১০০ কোটি টাকা ও নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ১২৫ কোটি টাকার বরাদ্দকে বিসিআই স্বাগত জানিয়েছে। এছাড়া এসএমই খাতের ফরমালাইজেশন ও ডিজিটাল ঋণ প্রবাহ বৃদ্ধির উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে মূল্যায়ন করেছে।
সংগঠনটি আরও বলেছে, বাজেট বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সঠিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। বরাদ্দকৃত অর্থের যথাযথ ব্যবহার ও কার্যকর মনিটরিংয়ের ওপর জোর দিয়েছে বিসিআই।