ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার হাওড়া নদী, জাজি খাল ও কালন্দি খালের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের অন্তত ৪৫০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত রোববার (১ জুন) ১০টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার পর সোমবার (২ জুন) আরও ৯টি গ্রাম নতুন করে পানিতে তলিয়ে যায়।
পানির স্তর ক্রমাগত বাড়তে থাকায় আখাউড়া স্থলবন্দর সড়কের বঙ্গেরচর এলাকার একাংশ এবং বন্দরের আশপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো পানির নিচে চলে গেছে। তবে এখনো স্থলবন্দরের কার্যক্রম সচল রয়েছে এবং দুই দেশের মধ্যে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক আছে। তবে পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিএম রাশেদুল ইসলাম জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪৫০টি পরিবারের তালিকা তৈরি হয়েছে এবং শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান জানান, বন্যার মধ্যেও রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হয়নি। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত তিনটি ট্রাকে ১৫ মেট্রিক টন মাছ ভারতে রপ্তানি হয়েছে এবং ৪০-৪৬ জন যাত্রী ভারতের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছেন।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুর রহমান জানান, ত্রিপুরা হাওড়া নদীর পানি বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে এবং সেই পানি বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।
গত ২৮ মে সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে মোগড়া, মনিয়ন্দ ও দক্ষিণ ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকায় পানি উঠে গিয়ে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে আসে।