ঢাকা , বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
হামজা চৌধুরীর আগমনে জোয়ার বাংলাদেশ ফুটবলে, ভুটানের বিপক্ষে আজ প্রস্তুতি ম্যাচ রিলসের নামে অশ্লীলতার প্রতিযোগিতা: ভিউয়ের পেছনে দৌড়ে সমাজ হারাচ্ছে মূল্যবোধ আজ মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা ভাঙ্গায় মাহিন্দ্রা-বাস সংঘর্ষে ৪ জন নিহত, আহত ৩ মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ মাংস বিক্রেতাদের সরাসরি গুলি করার হুমকি দিয়েছেন ভারতের গাজিয়াবাদ বিধায়ক গুর্জ ইসরাইলের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন ও ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিল করেছে স্পেন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি: এনবিআর চেয়ারম্যান খাবার আনতে যাওয়া ২৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরাইল ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানি বন্ধের দাবি জানালো যাত্রী কল্যাণ সমিতি

মৎস্য উৎপাদনে ৫২ লাখ ৫৫ হাজার মেট্রিক টনের লক্ষ্য নতুন বাজেটে

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে দেশের মৎস্য উৎপাদন ৫২ লাখ ৫৫ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার (২ জুন) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ উত্থাপিত জাতীয় বাজেট প্রস্তাবে এ তথ্য জানানো হয়।

 

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, মিঠা পানির মাছের উৎপাদন বাড়াতে হাওর এলাকায় প্রতি বছর ২৯ মে থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত মাছ ধরা বন্ধ রাখার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। একইভাবে, সামুদ্রিক জলসীমায় ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত সব ধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

 

দেশের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণে এ উৎপাদন লক্ষ্য নির্ধারণের পাশাপাশি কৃষি, খাদ্য ও মৎস্য এবং প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জন্য মোট ৩৯ হাজার ৬২০ কোটি টাকার বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে।

 

প্রস্তাবিত বাজেট দেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, স্থিতিশীলতা নিশ্চিত এবং প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। এবারের বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম বাজেট, যার আকার হ্রাস পেয়েছে।

 

২০২৫-২৬ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা এবং বাজেট ঘাটতি নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৩.৬২ শতাংশ। এ ঘাটতি পূরণে সরকার বৈদেশিক ঋণ, ব্যাংক ঋণ এবং সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভর করবে।

 

বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বিস্তার, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বিশেষ করে গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন এবং অবকাঠামোগত অগ্রগতির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

 

সংসদ না থাকায় এবার বাজেট নিয়ে কোনো সংসদীয় আলোচনা হবে না। তবে নাগরিকদের মতামতের ভিত্তিতে বাজেটের চূড়ান্ত রূপ দেওয়া হবে এবং প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদনের পর রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করে বাজেটটি ১ জুলাই থেকে কার্যকর করবেন।

জনপ্রিয়

হামজা চৌধুরীর আগমনে জোয়ার বাংলাদেশ ফুটবলে, ভুটানের বিপক্ষে আজ প্রস্তুতি ম্যাচ

মৎস্য উৎপাদনে ৫২ লাখ ৫৫ হাজার মেট্রিক টনের লক্ষ্য নতুন বাজেটে

প্রকাশিত: ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে দেশের মৎস্য উৎপাদন ৫২ লাখ ৫৫ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার (২ জুন) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ উত্থাপিত জাতীয় বাজেট প্রস্তাবে এ তথ্য জানানো হয়।

 

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, মিঠা পানির মাছের উৎপাদন বাড়াতে হাওর এলাকায় প্রতি বছর ২৯ মে থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত মাছ ধরা বন্ধ রাখার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। একইভাবে, সামুদ্রিক জলসীমায় ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত সব ধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

 

দেশের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণে এ উৎপাদন লক্ষ্য নির্ধারণের পাশাপাশি কৃষি, খাদ্য ও মৎস্য এবং প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জন্য মোট ৩৯ হাজার ৬২০ কোটি টাকার বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে।

 

প্রস্তাবিত বাজেট দেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, স্থিতিশীলতা নিশ্চিত এবং প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। এবারের বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম বাজেট, যার আকার হ্রাস পেয়েছে।

 

২০২৫-২৬ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা এবং বাজেট ঘাটতি নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৩.৬২ শতাংশ। এ ঘাটতি পূরণে সরকার বৈদেশিক ঋণ, ব্যাংক ঋণ এবং সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভর করবে।

 

বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বিস্তার, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বিশেষ করে গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন এবং অবকাঠামোগত অগ্রগতির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

 

সংসদ না থাকায় এবার বাজেট নিয়ে কোনো সংসদীয় আলোচনা হবে না। তবে নাগরিকদের মতামতের ভিত্তিতে বাজেটের চূড়ান্ত রূপ দেওয়া হবে এবং প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদনের পর রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করে বাজেটটি ১ জুলাই থেকে কার্যকর করবেন।