অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির জানিয়েছেন, আগামী সংসদ গণপরিষদের মতো সম্পূর্ণ ক্ষমতা পাবে না, তবে এটি একটি বিশেষ ক্ষমতা অস্থায়ীভাবে পাবে যা কনস্টিটুয়েন্ট অ্যাসেম্বলি বা সংবিধান রচনাকারী পরিষদের মতো হবে। তিনি ব্যাখ্যা করেন, ভবিষ্যতের সংসদ সাধারণ সংসদ হিসেবে থাকবে কিন্তু সে সংসদে সংবিধান সংশোধনের জন্য একটি গাঠনিক ক্ষমতা অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যা সাময়িককালীন হবে।
শিশির মনির বলেন, এই সংসদের দুটি মূল কাজ থাকবে—একটি সাধারণ সংসদের নিয়ম অনুযায়ী কাজ চালানো এবং আরেকটি হলো সংবিধান সংশোধনের মতো গুরুতর সংস্কার করার ক্ষমতা প্রয়োগ করা। এই বিশেষ ক্ষমতা মূলত নির্বাচনের পরে প্রথম অধিবেশনের সময় প্রয়োগ করে সংশোধন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে, এরপর সংসদ সাধারণ উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষে বিভক্ত হয়ে নিজ কাজ করবে।
গণভোটের ধরণ সম্পর্কে শিশির মনির জানান, দেশের ইতিহাসে যেমন তিনটি গণভোট হয়েছে, আগামী গণভোটেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে—সকল সংশোধন একসাথে জনগণের সামনে ধরা হবে এবং তারা ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ দিয়ে মতামত জানাবে। এটি ধাপে ধাপে বা ভাগাভাগি করে হবে না। জনগণের সরাসরি সম্মতি নেওয়া হবে।
সংক্ষেপে, আগামী সংসদটি গণপরিষদের মতো পূর্ণাঙ্গ সংবিধান সভা হবে না, কিন্তু সেটি সংবিধান সংশোধনের জন্য একটি অস্থায়ী বিশেষ ক্ষমতা পাবে, যা সফল হলে এটি কাঠামোগতভাবে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদে রূপান্তরিত হবে।