ট্রাম্পের বক্তব্যে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র-পরিষদের মধ্যস্থতায় চলা আলোচনাকে কয়েক দিনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হবে—তিনি হামাসকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে অনুরোধ করেছেন। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, এই পদক্ষেপ “তিন হাজার বছরের এই সংকটের অবসানের আরও কাছে” নিয়ে যেতে পারে। ট্রাম্প হামাসকে রবিবার (ওয়াশিংটন সময়) সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত তার প্রস্তাবিত ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রতিক্রিয়া জানানোর সময়সীমা দিয়েছেন।
এর আগে হামাস ঘোষণা করেছিল তারা জীবিত ও মৃত—সব ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত এবং গাজার প্রশাসন প্রযুক্তিবিদ-নেতৃত্বাধীন স্বাধীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে হামাস জোর দিয়ে বলেছে, গাজার ভবিষ্যৎ ও ফিলিস্তিনিদের অধিকারকে বৃহত্তর জাতীয় কাঠামোর মধ্যে সমাধান করতে হবে—অর্থাৎ কোনো বহিরাগত বা সীমিত চুক্তি তাদের পূর্ণ প্রত্যাশা মেটাবে না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, ঘোষণা এবং প্রচলিত বক্তব্যের মধ্যে ফাঁক থাকায় বাস্তবায়ন পর্যন্ত পথটা জটিল। যুদ্ধবিরতি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা, পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থাপনা, বন্দি বিনিময় প্রক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ প্রশাসনিক কাঠামো নিয়ে কড়াকড়ি আলোচনা প্রয়োজন হবে। এছাড়া মাঠে বাস্তবিকভাবে আগ্রাসন কমলে মানবিক সহায়তা প্রবাহ এবং স্থানান্তর কার্যক্রমও সহজতর হতে পারে—তবে এসবের জন্য তাত্ক্ষণিক ও টেকসই কূটনৈতিক সমাধান অপরিহার্য।