মহান আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সম্মান ও মর্যাদা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, “আমি আদম-সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি... এবং সৃষ্টি জগতের অনেকের ওপর তাদের শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি” (সুরা ইসরা ৭০)। তবুও আজকের সমাজে একে অপরকে হেয় করা, বিদ্রুপ করা যেন একটি সাধারণ অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। অথচ কোরআনে সাফ নিষেধাজ্ঞা এসেছে, “কোনো সম্প্রদায় যেন অন্য সম্প্রদায়কে বিদ্রুপ না করে... হতে পারে তারা তাদের চেয়ে উত্তম।” (সুরা হুজরাত ১১)
কারও উচ্চারণভঙ্গি, আচরণ, চেহারা বা শারীরিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে হাসি-ঠাট্টা, ট্রল, চোখ বা অঙ্গভঙ্গি দ্বারা ব্যঙ্গ – সবই ইসলামে নিষিদ্ধ। এ ধরনের বিদ্রুপ একে অপরের প্রতি অবজ্ঞা ও ঘৃণার জন্ম দেয়, যা ইসলামী ভ্রাতৃত্ববোধের পরিপন্থী।
বর্তমান সমাজে জেলাভিত্তিক ট্রল, দলীয় বিদ্রুপ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, কেউ মারা গেলেও সেই বিষয় নিয়ে ঠাট্টা করা হয়। অথচ ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ কবিরা গুনাহ; এটি একেবারে বড় ধরণের পাপ।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, “এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই। সে তার ওপর অবিচার করবে না, অপদস্থ করবে না, অবজ্ঞাও করবে না।” (মুসনাদে আহমাদ)
ইসলামের আদর্শ হলো—দোষ গোপন রাখা ও কারও দুর্বলতা নিয়ে না হাসা। নবীজি (সা.) আরও বলেন, “যে ব্যক্তি দুনিয়াতে কোনো মুসলমানের দোষ গোপন রাখে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখেরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন।” (ইবনে মাজাহ)
সুতরাং, ইসলামী মূল্যবোধ অনুযায়ী ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ শুধু গুনাহ নয়, বরং এটি সমাজে বিভেদ ও বিদ্বেষের বিষ বয়ে আনে। তাই এই অভ্যাস থেকে ফিরে আসাই উত্তম।
ব্যঙ্গ- বিদ্রুপ যখন আখিরাতে শাস্তির চাবিকাঠি হয়ে দাঁড়ায়
- আপলোড সময় : ২০-০৭-২০২৫ ০৯:০২:১২ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২০-০৭-২০২৫ ০৯:০২:১২ পূর্বাহ্ন

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ