প্রথমে ফ্রান্স, এরপর যুক্তরাজ্য ও সম্প্রতি কানাডা — বিশ্বসেরা পশ্চিমা শক্তিগুলো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে তাদের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে চাপ বাড়াচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৪০টিরও বেশি দেশ এই ধারণাকে সমর্থন জানিয়েছে। ফিলিস্তিনিরা এগুলোকে তাদের সংগ্রামের বড় অগ্রগতি মনে করছেন, যদিও ইসরায়েল সরকার এটি ‘সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করার প্রচেষ্টা’ হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর প্রতি ক্রমশ হতাশা প্রকাশ করছেন, বিশেষ করে গাজার দুর্ভিক্ষ নিয়ে। ট্রাম্প আঞ্চলিক শান্তির জন্য সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চান, কিন্তু রিয়াদ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার একটি নির্দিষ্ট রোডম্যাপ ছাড়া তা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন গাজার দুই বছরের যুদ্ধে শান্তি আনতে পারে, যেখানে ৬০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তবে পশ্চিম তীরের ইহুদি বসতিগুলো ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হওয়া এবং ফিলিস্তিনি নেতৃত্বের দুর্বলতা বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়েছে।
নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং তার মন্ত্রিসভার কিছু সদস্য স্বাধীন রাষ্ট্র বিরোধী ও চরমপন্থী। তারা গাজায় খাদ্য সহায়তার বদলে ক্ষুধার্ত রাখার কথাও বলছেন। যদিও নেতানিয়াহু আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে কিছু নমনীয়তার সংকেত দিয়েছেন, তার মন্ত্রিসভা ভেঙে যাওয়ার ভয়ে পিছু হটেননি।
ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও অন্যান্য দেশের চাপকে নেতানিয়াহু ‘সম্মানের ব্যাজ’ হিসেবে দেখছেন। ইসরায়েলি সরকারের সহযোগিতা ছাড়া ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি কার্যকর হবে না, বরং এটি নেতানিয়াহুর অবস্থানকে মজবুত করতে পারে। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ মার্কিন প্রেসিডেন্টকে তার অবস্থান পুনর্বিবেচনায় বাধ্য করতে পারে, যা ইসরায়েলের জন্য রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিকর হতে পারে।
ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র স্বীকৃতিতে পশ্চিমা তিন দেশের কূটনৈতিক চাপ বাড়ছে
- আপলোড সময় : ০৩-০৮-২০২৫ ০৯:১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৩-০৮-২০২৫ ০৯:১০:৫৬ পূর্বাহ্ন

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ