ঢাকা , রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ থেকে ইলিশ নিতে আগ্রহী চীন

বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১ হাজার টন ইলিশ আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহের কথা জানান। বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম খান উপস্থিত ছিলেন।

 

বৈঠকে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন, বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, চীনে বাংলাদেশের ইলিশ মাছের চাহিদা ব্যাপক। ইলিশ রপ্তানির মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ভারসাম্য আনার সুযোগ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১ হাজার টন ইলিশ আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া, বাংলাদেশ থেকে আম, কাঁঠাল ও পেয়ারা আমদানির পাশাপাশি এসব খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী চীন। চীনের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করতে চান। বিশেষত, চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৩০টি চীনা কোম্পানি বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে।

 

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বলেন, চীন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী এবং দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে দুই দেশের মধ্যে। বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে এই সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার সুযোগ রয়েছে।বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি উল্লেখ করে বশির উদ্দিন বাংলাদেশি পণ্য আমদানি বৃদ্ধির পাশাপাশি আমদানিকৃত পণ্যের ওপর শুল্ক হ্রাসের আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ বাড়ানো জরুরি, বিশেষত কৃষি আধুনিকীকরণ ও ট্রাক উৎপাদন খাতে বিনিয়োগ উভয় দেশের জন্যই লাভজনক হবে।

জনপ্রিয়

বাংলাদেশ থেকে ইলিশ নিতে আগ্রহী চীন

প্রকাশিত: ১০:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১ হাজার টন ইলিশ আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহের কথা জানান। বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম খান উপস্থিত ছিলেন।

 

বৈঠকে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন, বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, চীনে বাংলাদেশের ইলিশ মাছের চাহিদা ব্যাপক। ইলিশ রপ্তানির মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ভারসাম্য আনার সুযোগ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১ হাজার টন ইলিশ আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া, বাংলাদেশ থেকে আম, কাঁঠাল ও পেয়ারা আমদানির পাশাপাশি এসব খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী চীন। চীনের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করতে চান। বিশেষত, চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৩০টি চীনা কোম্পানি বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে।

 

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বলেন, চীন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী এবং দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে দুই দেশের মধ্যে। বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে এই সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার সুযোগ রয়েছে।বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি উল্লেখ করে বশির উদ্দিন বাংলাদেশি পণ্য আমদানি বৃদ্ধির পাশাপাশি আমদানিকৃত পণ্যের ওপর শুল্ক হ্রাসের আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ বাড়ানো জরুরি, বিশেষত কৃষি আধুনিকীকরণ ও ট্রাক উৎপাদন খাতে বিনিয়োগ উভয় দেশের জন্যই লাভজনক হবে।