ঢাকা , রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আলীকদমে পাহাড়ি ঢলে ভেসে যাওয়া আরও এক পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার

বান্দরবানের আলীকদমে পাহাড়ি ঢলে ভেসে যাওয়া আরও এক পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে তৈনখালের আমতলী নৌঘাট এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

উদ্ধার হওয়া পর্যটকের নাম স্মৃতি ইসলাম। তার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়। এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ট্যুর গ্রুপের সহ-সমন্বয়ক মো. হাসান চৌধুরী। এ পর্যন্ত দুইজন পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার হলো।

আলীকদম থানার এসআই শাহাদাৎ হোসাইন জানান, শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা তৈনখালের আমতলী নৌঘাট এলাকায় একটি মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সাড়ে ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে মরদেহটি উদ্ধার করেন।

তিনি বলেন, ‘স্মৃতি ইসলামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায় হলেও শুনেছি, তিনি কুমিল্লার একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কাজ করতেন। তবে পরিবারের সদস্যরা পৌঁছালে নিশ্চিত হওয়া যাবে। প্রাথমিক তদন্ত শেষে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। এরপর আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

পুলিশ জানিয়েছে, স্মৃতির পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে। তারা আলীকদমে আসার পথে রয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আলীকদম উপজেলার কয়েকজন গাইড জানান, ৯ জুন ‘ট্যুর এক্সপার্ট’ নামে ৩৩ জনের একটি দল দুজন গাইড নিয়ে থানচি-আলীকদমের মাঝখানে ক্রিসতং পাহাড়ে বেড়াতে যায়। দলের নেতৃত্বে ছিলেন বর্ষা নামে এক নারী ট্যুর অপারেটর এবং সহ-সমন্বয়ক ছিলেন হাসান চৌধুরী।

তাদের গন্তব্য ছিল আলীকদমের ক্রিসতং পাহাড় ও থানচির সাকাহাফং পাহাড় চূড়া। দলটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যাত্রা করে—একটিতে ২২ জন, অন্যটিতে ১১ জন ছিলেন।

গাইডরা জানান, ২২ সদস্যের একটি দল পাহাড়ি ঝিরি পার হতে পারলেও, অন্য দলের দুই পর্যটক এবং একজন ট্যুর অপারেটর স্রোতে ভেসে যান। এদের মধ্যে বৃহস্পতিবার জুবাইরুল ইসমার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার উদ্ধার হয় স্মৃতি ইসলামের মরদেহ। নিখোঁজ রয়েছেন সহ-সমন্বয়ক হাসান চৌধুরী।

জনপ্রিয়

আলীকদমে পাহাড়ি ঢলে ভেসে যাওয়া আরও এক পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত: ১১ ঘন্টা আগে

বান্দরবানের আলীকদমে পাহাড়ি ঢলে ভেসে যাওয়া আরও এক পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে তৈনখালের আমতলী নৌঘাট এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

উদ্ধার হওয়া পর্যটকের নাম স্মৃতি ইসলাম। তার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়। এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ট্যুর গ্রুপের সহ-সমন্বয়ক মো. হাসান চৌধুরী। এ পর্যন্ত দুইজন পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার হলো।

আলীকদম থানার এসআই শাহাদাৎ হোসাইন জানান, শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা তৈনখালের আমতলী নৌঘাট এলাকায় একটি মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সাড়ে ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে মরদেহটি উদ্ধার করেন।

তিনি বলেন, ‘স্মৃতি ইসলামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায় হলেও শুনেছি, তিনি কুমিল্লার একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কাজ করতেন। তবে পরিবারের সদস্যরা পৌঁছালে নিশ্চিত হওয়া যাবে। প্রাথমিক তদন্ত শেষে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। এরপর আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

পুলিশ জানিয়েছে, স্মৃতির পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে। তারা আলীকদমে আসার পথে রয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আলীকদম উপজেলার কয়েকজন গাইড জানান, ৯ জুন ‘ট্যুর এক্সপার্ট’ নামে ৩৩ জনের একটি দল দুজন গাইড নিয়ে থানচি-আলীকদমের মাঝখানে ক্রিসতং পাহাড়ে বেড়াতে যায়। দলের নেতৃত্বে ছিলেন বর্ষা নামে এক নারী ট্যুর অপারেটর এবং সহ-সমন্বয়ক ছিলেন হাসান চৌধুরী।

তাদের গন্তব্য ছিল আলীকদমের ক্রিসতং পাহাড় ও থানচির সাকাহাফং পাহাড় চূড়া। দলটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যাত্রা করে—একটিতে ২২ জন, অন্যটিতে ১১ জন ছিলেন।

গাইডরা জানান, ২২ সদস্যের একটি দল পাহাড়ি ঝিরি পার হতে পারলেও, অন্য দলের দুই পর্যটক এবং একজন ট্যুর অপারেটর স্রোতে ভেসে যান। এদের মধ্যে বৃহস্পতিবার জুবাইরুল ইসমার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার উদ্ধার হয় স্মৃতি ইসলামের মরদেহ। নিখোঁজ রয়েছেন সহ-সমন্বয়ক হাসান চৌধুরী।