ঢাকা , রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশজুড়ে ডেঙ্গুর ভয়াবহ বিস্তার, রেড জোন বরগুনা

লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ, ছড়িয়ে পড়েছে দেশের ৫৮ জেলায়। বরিশালের বরগুনা জেলা পরিণত হয়েছে রেড জোনে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫ হাজার ৫৭০ জন, যার প্রায় অর্ধেকই বরিশাল বিভাগে। তবে মৃত্যুর সংখ্যায় এগিয়ে রয়েছে ঢাকা।

 

শুক্রবার (১৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সর্বশেষ তথ্যে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৫ জন, এর মধ্যে ৪ জন বরগুনা ও ১ জন ঢাকা জেলার বাসিন্দা। একই সময়ে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫৯ জন, যার মধ্যে বরগুনা জেলারই ৬৭ জন।

 

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, এখনই ডেঙ্গুর লাগাম টেনে ধরা না গেলে, তা বরগুনার বাহিরে আরও জেলাজুড়ে ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

 

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মশক নিধন কার্যক্রম জোরদার করার পাশাপাশি দেশব্যাপী জনসচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।

 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার জানান, এখনো ডেঙ্গুর মৌসুম পুরোপুরি শুরু হয়নি, সামনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ আরও কিছু জেলায় পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

 

তিনি পরামর্শ দেন, যেসব বাড়িতে ডেঙ্গু রোগী আছে, সেখানে আশপাশের ২০০ মিটার এলাকার ফগিং নিশ্চিত করতে হবে যেন কোনো মশা বেঁচে না থাকে।

 

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর ডেঙ্গুতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২৮ জন। রোগীর সংখ্যা বরিশালে বেশি হলেও, মৃত্যুহার ঢাকায় বেশি।

জনপ্রিয়

দেশজুড়ে ডেঙ্গুর ভয়াবহ বিস্তার, রেড জোন বরগুনা

প্রকাশিত: ১৩ ঘন্টা আগে

লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ, ছড়িয়ে পড়েছে দেশের ৫৮ জেলায়। বরিশালের বরগুনা জেলা পরিণত হয়েছে রেড জোনে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫ হাজার ৫৭০ জন, যার প্রায় অর্ধেকই বরিশাল বিভাগে। তবে মৃত্যুর সংখ্যায় এগিয়ে রয়েছে ঢাকা।

 

শুক্রবার (১৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সর্বশেষ তথ্যে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৫ জন, এর মধ্যে ৪ জন বরগুনা ও ১ জন ঢাকা জেলার বাসিন্দা। একই সময়ে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫৯ জন, যার মধ্যে বরগুনা জেলারই ৬৭ জন।

 

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, এখনই ডেঙ্গুর লাগাম টেনে ধরা না গেলে, তা বরগুনার বাহিরে আরও জেলাজুড়ে ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

 

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মশক নিধন কার্যক্রম জোরদার করার পাশাপাশি দেশব্যাপী জনসচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।

 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার জানান, এখনো ডেঙ্গুর মৌসুম পুরোপুরি শুরু হয়নি, সামনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ আরও কিছু জেলায় পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

 

তিনি পরামর্শ দেন, যেসব বাড়িতে ডেঙ্গু রোগী আছে, সেখানে আশপাশের ২০০ মিটার এলাকার ফগিং নিশ্চিত করতে হবে যেন কোনো মশা বেঁচে না থাকে।

 

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর ডেঙ্গুতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২৮ জন। রোগীর সংখ্যা বরিশালে বেশি হলেও, মৃত্যুহার ঢাকায় বেশি।