ঢাকা , রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভূমিহীনদের বন্ধু উপাধি পেলেন আবদুল হান্নান মাসউদ

জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, উপকূলীয় দ্বীপ হাতিয়ার ইতিহাস বহু পুরোনো হলেও স্বাধীনতার পর এতদিনেও সেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। দ্বীপের মানুষ এখনও অবহেলিত। গত ১৭ বছরে চোখে পড়ার মতো কোনো উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি। তিনি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এই দ্বীপের উন্নয়নে কাজ করতে চান।

 

শনিবার (১৪ জুন) ভূমিহীন পরিবারের আয়োজনে হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজ হলরুমে ‘ভূমিহীন পরিবারের জীবনে নতুন ভোর, একটি স্বপ্নের যাত্রা, সম্মান ও স্বীকৃতির উৎসব’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, হাতিয়ায় ফেরি চালুর উদ্যোগ নিলেই স্পিডবোট ও ট্রলার মালিকদের স্বার্থে আঘাত লাগে, ভূমিহীনদের জমি বুঝিয়ে দিতে গেলে ভূমিদস্যুরা ক্ষিপ্ত হয়, আর অবকাঠামো উন্নয়নের কথা বললেই অপরাজনীতির জাল ছিঁড়ে যায়। তিনি বলেন, “আমরা জানি এই লড়াই সহজ হবে না, তবে হাতিয়ার মাটি ও মানুষের স্বার্থে এই লড়াই সবার অংশগ্রহণে চালিয়ে যেতে হবে। আমরা এমন একটি সংগ্রাম চাই, যার মাধ্যমে হাতিয়ায় একটিও ভূমিহীন পরিবার থাকবে না।”

 

ভূমিহীনদের রাজনৈতিক লাঠিয়াল হিসেবে ব্যবহারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “এই মানুষগুলোর কথা না আসে মিডিয়ায়, না ধরা পড়ে সুশীল সমাজের চোখে, না উঠে আসে সাংবাদিকতার মাধ্যমে। এই অবহেলার অবসান দরকার।”

 

নদী ভাঙন প্রতিরোধে গত ৫০ বছরে কেউ একটি জিও ব্যাগও ফেলতে না পারলেও, গত দশ মাসে প্রশাসনের সহযোগিতায় পাঁচ কিলোমিটারের বেশি এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, “আপনারা পাশে থাকলে আমরা স্থায়ী ব্লক বাঁধ নির্মাণ করব।”

 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাতিয়া কলেজের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক মফিজ উদ্দিন, ভূমিহীন পরিবারের সদস্য শরিফ উদ্দিন, হাতিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. ফিরোজ উদ্দিন, জাতীয় নাগরিক পার্টির সংগঠক ইউসুফ, এবং নিউমার্কেটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের প্রমুখ। আয়োজকরা আবদুল হান্নান মাসউদকে ‘ভূমিহীনদের বন্ধু’ উপাধি প্রদান করেন।

জনপ্রিয়

ভূমিহীনদের বন্ধু উপাধি পেলেন আবদুল হান্নান মাসউদ

প্রকাশিত: ১১ ঘন্টা আগে

জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, উপকূলীয় দ্বীপ হাতিয়ার ইতিহাস বহু পুরোনো হলেও স্বাধীনতার পর এতদিনেও সেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। দ্বীপের মানুষ এখনও অবহেলিত। গত ১৭ বছরে চোখে পড়ার মতো কোনো উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি। তিনি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এই দ্বীপের উন্নয়নে কাজ করতে চান।

 

শনিবার (১৪ জুন) ভূমিহীন পরিবারের আয়োজনে হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজ হলরুমে ‘ভূমিহীন পরিবারের জীবনে নতুন ভোর, একটি স্বপ্নের যাত্রা, সম্মান ও স্বীকৃতির উৎসব’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, হাতিয়ায় ফেরি চালুর উদ্যোগ নিলেই স্পিডবোট ও ট্রলার মালিকদের স্বার্থে আঘাত লাগে, ভূমিহীনদের জমি বুঝিয়ে দিতে গেলে ভূমিদস্যুরা ক্ষিপ্ত হয়, আর অবকাঠামো উন্নয়নের কথা বললেই অপরাজনীতির জাল ছিঁড়ে যায়। তিনি বলেন, “আমরা জানি এই লড়াই সহজ হবে না, তবে হাতিয়ার মাটি ও মানুষের স্বার্থে এই লড়াই সবার অংশগ্রহণে চালিয়ে যেতে হবে। আমরা এমন একটি সংগ্রাম চাই, যার মাধ্যমে হাতিয়ায় একটিও ভূমিহীন পরিবার থাকবে না।”

 

ভূমিহীনদের রাজনৈতিক লাঠিয়াল হিসেবে ব্যবহারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “এই মানুষগুলোর কথা না আসে মিডিয়ায়, না ধরা পড়ে সুশীল সমাজের চোখে, না উঠে আসে সাংবাদিকতার মাধ্যমে। এই অবহেলার অবসান দরকার।”

 

নদী ভাঙন প্রতিরোধে গত ৫০ বছরে কেউ একটি জিও ব্যাগও ফেলতে না পারলেও, গত দশ মাসে প্রশাসনের সহযোগিতায় পাঁচ কিলোমিটারের বেশি এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, “আপনারা পাশে থাকলে আমরা স্থায়ী ব্লক বাঁধ নির্মাণ করব।”

 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাতিয়া কলেজের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক মফিজ উদ্দিন, ভূমিহীন পরিবারের সদস্য শরিফ উদ্দিন, হাতিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. ফিরোজ উদ্দিন, জাতীয় নাগরিক পার্টির সংগঠক ইউসুফ, এবং নিউমার্কেটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের প্রমুখ। আয়োজকরা আবদুল হান্নান মাসউদকে ‘ভূমিহীনদের বন্ধু’ উপাধি প্রদান করেন।