ঢাকা , রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশকে ২৫ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

বাংলাদেশে সরকারি খাতের স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও দক্ষতা বাড়াতে ২৫০ মিলিয়ন (২৫ কোটি) ডলারের ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

 

শনিবার (১৪ জুন) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘স্ট্রেনদেনিং ইনস্টিটিউশনস ফর ট্রান্সপারেন্সি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টেবিলিটি (সিটার)’ প্রকল্পের আওতায় এই অর্থায়ন অনুমোদন করেছে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালকদের বোর্ড।

 

প্রকল্পটি বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যবস্থাপনা, রাজস্ব আহরণ, সরকারি বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা, ক্রয় প্রক্রিয়া ও আর্থিক তদারকির মতো ক্ষেত্রগুলোতে চলমান সংস্কার কার্যক্রমকে সহায়তা করবে।

 

এটি পাঁচটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা জোরদারে কাজ করবে: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), পরিকল্পনা বিভাগ, বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ), এবং মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়।

 

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন জানান, এই বিনিয়োগ ডিজিটাল রূপান্তরকে উৎসাহিত করবে, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়াবে, দুর্নীতির ঝুঁকি কমাবে এবং জনসাধারণের জন্য সরকারি সেবার গুণগত মান ও প্রবেশাধিকারে উন্নয়ন ঘটাবে।

 

প্রকল্পের আওতায় ট্যাক্স ব্যবস্থাপনার আধুনিকীকরণ, স্বেচ্ছায় ট্যাক্স পরিশোধে উৎসাহ, রাজস্ব বৃদ্ধির মাধ্যমে আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণ, সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বৃদ্ধি, ই-জিপি’র দ্বিতীয় প্রজন্ম চালু এবং অডিট ব্যবস্থার ডিজিটাল রূপান্তর অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

 

বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার আরও একটি ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট প্রস্তুত করছে, যা জুন মাসের শেষ দিকে বোর্ড সভায় উপস্থাপন করা হবে। এটি স্বচ্ছতা, রাজস্ব আহরণ, ব্যাংকিং খাত, তথ্য ব্যবস্থাপনা, সরকারি বিনিয়োগ, অডিট ও সামাজিক সুরক্ষা বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।

 

বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ও প্রকল্পটির টিম লিডার সুলেমান কুলিবালি জানান, এই প্রকল্প ও ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিটের সমন্বিত সহায়তা দীর্ঘমেয়াদে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।

জনপ্রিয়

বাংলাদেশকে ২৫ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

প্রকাশিত: ১২ ঘন্টা আগে

বাংলাদেশে সরকারি খাতের স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও দক্ষতা বাড়াতে ২৫০ মিলিয়ন (২৫ কোটি) ডলারের ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

 

শনিবার (১৪ জুন) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘স্ট্রেনদেনিং ইনস্টিটিউশনস ফর ট্রান্সপারেন্সি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টেবিলিটি (সিটার)’ প্রকল্পের আওতায় এই অর্থায়ন অনুমোদন করেছে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালকদের বোর্ড।

 

প্রকল্পটি বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যবস্থাপনা, রাজস্ব আহরণ, সরকারি বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা, ক্রয় প্রক্রিয়া ও আর্থিক তদারকির মতো ক্ষেত্রগুলোতে চলমান সংস্কার কার্যক্রমকে সহায়তা করবে।

 

এটি পাঁচটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা জোরদারে কাজ করবে: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), পরিকল্পনা বিভাগ, বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ), এবং মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়।

 

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন জানান, এই বিনিয়োগ ডিজিটাল রূপান্তরকে উৎসাহিত করবে, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়াবে, দুর্নীতির ঝুঁকি কমাবে এবং জনসাধারণের জন্য সরকারি সেবার গুণগত মান ও প্রবেশাধিকারে উন্নয়ন ঘটাবে।

 

প্রকল্পের আওতায় ট্যাক্স ব্যবস্থাপনার আধুনিকীকরণ, স্বেচ্ছায় ট্যাক্স পরিশোধে উৎসাহ, রাজস্ব বৃদ্ধির মাধ্যমে আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণ, সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বৃদ্ধি, ই-জিপি’র দ্বিতীয় প্রজন্ম চালু এবং অডিট ব্যবস্থার ডিজিটাল রূপান্তর অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

 

বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার আরও একটি ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট প্রস্তুত করছে, যা জুন মাসের শেষ দিকে বোর্ড সভায় উপস্থাপন করা হবে। এটি স্বচ্ছতা, রাজস্ব আহরণ, ব্যাংকিং খাত, তথ্য ব্যবস্থাপনা, সরকারি বিনিয়োগ, অডিট ও সামাজিক সুরক্ষা বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।

 

বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ও প্রকল্পটির টিম লিডার সুলেমান কুলিবালি জানান, এই প্রকল্প ও ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিটের সমন্বিত সহায়তা দীর্ঘমেয়াদে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।