বগুড়ায় বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় মো. শাকিল (রিকশাচালক) নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতার বিরুদ্ধে। শনিবার (১৪ জুন) বিকেলে শহরের ফুলবাড়ী মধ্যপাড়া করতোয়া নদীর ঘাট এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত শাকিল শহরের শিববাট্টি এলাকার মৃত হানিফের ছেলে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত জিতু ইসলামসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। জিতু বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক। বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের মামা সিফাত হোসেন জানান, জিতু ও তার সহযোগীরা শাকিলের মেয়েকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন এবং একপর্যায়ে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এ বিষয়ে শনিবার সকালে শাকিল প্রতিবাদ করলে ও জিতুকে থাপ্পড় মারলে, পরে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। শাকিল সেখান থেকে পালিয়ে বাড়ি ফিরে আসলেও দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে জিতু মোটরসাইকেলযোগে ৬-৭ জনকে নিয়ে এসে শাকিলকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান।
এক ঘণ্টা পর জানা যায়, ফুলবাড়ী মধ্যপাড়া এলাকায় নদীর ধারে শাকিল রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। দ্রুত তাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সরকার মুকুল বলেন, “জিতুর অপরাধ সংগঠনের নয়, তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর জানান, “জিতুসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে এবং বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।”