সেবা কার্যক্রম শুরু করলেও এক্ষেত্রে আন্দোলন থেকে সরে আসার কোনো ‘সুযোগ নেই’ মন্তব্য করে ইশরাক বলেছেন, নগর ভবনের ফটকে ‘তালা ঝুলবেই’। কারণ বিষয়টিকে আন্দোলনের প্রতীক হিসেবে দেখছেন তারা।
সংকট সুরাহায় মেয়র হিসেবে শপথ পড়ার অনুমতি দিতে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ইশরাক; না হলে বিরতিহীনভাবে অবস্থান কর্মসূচি চলবে বলেও হুঁশিয়ার করেছেন ইশরাক।
তবে ঈদের আগে ইশরাকের ঘোষণা ছিল সরকার শপথ না পড়ালে নিজেই শপথ নিয়ে মেয়রের চেয়ারে বসবেন তিনি।
ঈদের ১০ দিনের ছুটির পর রোববার সরকারি অফিস খুললেও তালা খোলেনি নগর ভবনের। ফলে ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের শপথ পড়ানোর দাবিতে তার সমর্থক ও ডিএসসিসি কর্মচারী ইউনিয়নের আন্দোলন গড়িয়েছে দ্বিতীয় মাসে।
সকাল থেকেই নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন ডিএসসিসি কর্মচারী ইউনিয়নের কর্মীরা। তারা ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে নানা ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন তারা। ইশরাক নগর ভবনে প্রবেশ করেন বেলা ১১টার দিকে।
ঘটনাস্থলে সমর্থকদের নিয়ে ইশরাক বলেন, আন্দোলন থেকে পিছু হটার আর কোনো সুযোগ তাদের সামনে নেই। না হলে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে না বলে দাবি করেছেন তিনি।
সরকারের উদ্দেশে ইশরাক বলেন, “আহ্বান জানাবো আপনারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটা নিষ্পত্তি করেন। তাহলে অচলাবস্থা কেটে যাবে। নইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এই সংকটে চলবেই। এই সমস্যা সুরাহা না করা পর্যন্ত এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
“আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দৈনন্দিন কার্যক্রম চলবে, জনগণের জন্য ভোগান্তি না হয়। এগুলো আমাদের তত্ত্বাবধানে চলমান থাকবে।”
জন্ম নিবন্ধন সনদসহ দৈনন্দিন জরুরি সব সেবা চালু থাকার ঘোষণা দিয়ে ইশরাক বলেন, অন্যান্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা কর্মকর্তারা অফিস করতে পারবে না।