দমন-পীড়নের জন্য পুলিশ একসময় ভাবমূর্তির সংকটে পড়লেও বাহিনীটি এখন মানবিক হয়ে উঠেছে বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, “এখন পুলিশ হলো মানবিক পুলিশ, এজন্য লোকজন ভাবতেছে পুলিশ সচল হয় না। যেহেতু ভালো ব্যবহার করে, এজন্য ভাবতেছে পুলিশ (ইনঅ্যাকটিভ); কিন্তু আগের থেকে আরো বেশি অ্যাকটিভ।”
ঈদের ছুটি শেষে রোববার প্রথম কর্মদিবসে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
একজন সাংবাদিক জানতে চান, জুলাই-অগাস্ট আন্দোলনের পর ভেঙে পড়া পুলিশ কি কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় সচল হয়েছে?
জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “এখন যদি আগের ১৫ বছরের মতো ভাবেন- দুটা পিট্টি মারলো, পুলিশ খুব সচল। আমরা সেই পুলিশ চাচ্ছি না। আমরা তো মানবিক পুলিশ চাচ্ছি। সবার সাথে ভালো ব্যবহার করবে।
“পুলিশের কাজ হবে- দুটা বাড়ি মারবা, দুটা লাথি মারবা; আমরা ওই পুলিশ চাচ্ছি না। আমরা চাচ্ছি মানবিক পুলিশ, এজন্য ভাবতেছে পুলিশ সচল হয় না। পুলিশ এখন আগের থেকে বেশি অ্যাক্টিভ।”
উপদেষ্টা জাহাঙ্গীরের কাছে জানতে চাওয়া হয়, আগামী নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ প্রস্তুত কি না।
জবাবে তিনি বলেন, “নির্বাচনের ডেটটা তো ফিক্স করবে ইনফ্যাক্ট নির্বাচন কমিশন। উনারা যেই সময় ফিক্স করবে, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ওই সময় তারা প্রস্তুত। যেকোনো অবস্থায় পুলিশ প্রস্তুত আছে।”
মাস খানেক ধরে ভারত থেকে নিয়মিত পুশ ইনের ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “এ ব্যাপারে বহুবার বলা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ হয়েছে। ভারতীয় হাই কমিশনার আমাদের অফিসেও এসেছিলেন। কথা হয়েছে।
“বাংলাদেশের নাগরিক যদি ভারতে থেকে থাকে, তাহলে প্রোপার চ্যানেলে পাঠাও; আমরা নিয়ে নেব। জঙ্গলের ভেতরে ফেলে যাওয়া, নদীর উপরে ফেলে দেওয়া, লেইকের উপর ফেলে দেওয়া এটা কিন্তু সভ্য দেশের হওয়া উচিত না।”
শনিবার সকালে ঢাকার উত্তরায় কালো মাইক্রোবাসে চেপে র্যাবের পোশাক পরা কয়েকজন ‘নগদের’ এক পরিবেশকের এক কোটি আট লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর বলেন, “এটা নিয়ে আমরা খুবই কনসার্ন। আমরা সর্বোচ্চভাবে চেষ্টা করতেছি- এটার সাথে যেই জড়িত থাকুক, আমরা খুব যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যেন আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারি।”